অধিদপ্তরের নির্দেশ অমান্য করে লালমনিরহাটের ৭০ শিক্ষকের কর্মবিরতি

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের গ্রেড পরিবর্তনের দাবিতে তিন দিন ধরে কর্মবিরতিতে রয়েছেন লালমনিরহাটের দুই উপজেলার ৭০ জন সহকারী শিক্ষক। আসন্ন বার্ষিক পরীক্ষার মুহুর্তে কর্মবিরতির মত এরুপ কর্মসুচি শিক্ষা ব্যবস্থায় বিঘ্ন ঘটাবে বলে উদ্বেগ জানিয়েছেন অভিভাবকরা।

বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক ঐক্য পরিষদের ব্যানারে পুর্ণ দিবস কর্মবিরতি পালন করেন তারা।

তারা জানিয়েছেন, দাবি আদায় না হলে আগামী ২৩ অক্টোবর শিক্ষকরা রাজধানী ঢাকায় মহাসমাবেশ করবেন। এরপরও দাবি আদায় না হলে লাগাতার আন্দোলনে নামবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দ।

জানা গেছে, প্রধান শিক্ষকের বেতন ১০ম এবং সহকারি শিক্ষকদের বেতন ১১তম গ্রেডে উন্নীত করার দাবীতে কর্মসুচি ঘোষনা করে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক ঐক্য পরিষদ।

যদিও, প্রাথমিকের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ব্যবস্থায় বিঘ্ন ঘটার আশংকায় ক্ষতিকর কর্মসুচি না দিতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর শিক্ষকদের নির্দেশনা প্রদান করেন। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক সোহেল আহমেদ স্বাক্ষরিত এমন নির্দেশনার একটি চিঠি সকল জেলা ও উপজেলা শিক্ষা অফিসে পাঠানো হয়।

মহাপরিচালক সোহেল আহমেদ স্বাক্ষরিত নির্দেশনার চিঠি

এ চিঠিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক ঐক্য পরিষদের ব্যানারে লালমনিরহাটের আদিতমারী ও কালীগঞ্জ উপজেলা সহকারী শিক্ষক সমিতি নামে একটি সংগঠনের কতিপয় সহকারী শিক্ষক এ কর্মসুচি পালন করছেন।

তাদের টানা চার দিনের কর্মসুচিতে সোমবার ছিল ২ ঘন্টা, মঙ্গলবার ৩ ঘন্টা, বুধবার অর্ধদিবস ও বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর পুর্ণ দিবস কর্মবিরতি।

শিক্ষকদের কর্মবিরতি প্রসংগে অভিভাবক ফারুক হোসেন ও শফিকুল ইসলাম জানান, বার্ষিক পরীক্ষার আগে শিক্ষকদের এরুপ কর্মবিরতি পালন করা মোটেও যৌক্তিক নয়। এ বিষয়ে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সহকারী শিক্ষক বলেন, সমিতির ব্যানারে গুটিকয়েক শিক্ষক অধিদফতরের নির্দেশ অমান্য করে এ কর্মসূচি পালন করছেন। শিক্ষার্থীদের ক্ষতি হয় এমন কোন আন্দোলন করে নিজেদের সুযোগ সুবিধা বাড়ানোর চেষ্টা অযৌক্তিক।

লালমনিরহাট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার গোলাম নবী রাতদিননিউজকে জানান, অধিদফতরের নির্দেশ অমান্য করে সহকারী শিক্ষকদের আন্দোলন বা কর্মবিরতির বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে খোঁজ নিয়ে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এনএ/রাতদিন