অনলাইন শুটিংয়েও ব্যর্থ বাংলাদেশ

করোনাভাইরাসের জন্য এবার এশিয়ান শুটিং ফেডারেশন অনলাইনে শুটিংয়ের আয়োজন করেছে। বাংলাদেশের শুটাররা এই টুর্নামেন্টে বাজে ফলাফল করেছেন। শনিবার ১০ মিটার এয়ার রাইফেলে ৬১৯.৩ পয়েন্ট স্কোর করে ১৪তম হয়েছেন কমনওয়েলথ গেমসে রৌপ্য জয়ী এই শুটার।

কমনওয়েলথে রৌপ্য জেতা বাকির সাম্প্রতিক সময়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সময় খুব ভালো যাচ্ছে না। এয়ার রাইফেলে তার চেয়ে জুনিয়র শুটার মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম ০.০১ স্কোর বেশি নিয়ে ( ৬১৯.৪) ১৩তম হয়েছেন। ৬১৭.৭ পয়েন্ট রাব্বি হাসান মুন্না ১৯তম হয়েছেন।

ব্যর্থতার মিছিল অব্যাহত আছে নারী বিভাগেও। ৬২০.২ পয়েন্ট নিয়ে রিতিকা চৌধুরি ২০তম, ৬১৭.৩ পয়েন্ট নিয়ে সৈয়দা আতকিয়া হাসান ২৭তম এবং ৬১৭.২ পয়েন্ট নিয়ে নাতাশা তাবাসসুম ২৮তম হয়েছেন। আগের দিন পিস্তলে হতাশ করেছিলেন শাকিল আহম্মেদ-আরদিনা ফেরদৌসরা।

শুক্রবার এশিয়ান শুটিং কনফেডারেশনের (এএসসি) আয়োজনে গুলশানের শুটিং রেঞ্জে দাঁড়িয়েছিলেন ছয় পিস্তল শুটার। নুর আলিফ ৫৫৩, আবদুর রাজ্জাক ৫৫৬, শাকিল আহমেদ ৫৬৬, আরমিন আশা ৫৫৬-১০ এক্স স্কোর, আরদিনা ফেরদৌস ৫৬২ ও নিলুফা ইয়াসমিন ৫৫৭-১০ এক্স স্কোর করেন।

পুরুষদের মধ্যে শাকিল আহমেদ ২২তম, আদুর রাজ্জাক ৩৬তম ও নুর আলিফ ৩৯তম এবং নারীদের মধ্যে আরদিনা ফেরদৌস ১৭তম, নিলুফার ইয়াসমিন ২৩তম ও আরমিন আশা ২৫তম হয়েছেন। পুরুষদের বিভাগে ৫৮৮-২৫ এক্স স্কোর করে স্বর্ণপদক জেতেন ভারতের সৌরভ চৌধুরী, ইরানের জাভাদ ফোরোগি ৫৮৭ স্কোরে রুপা ও ভারতের সারাবজত সিং ৫৮২ স্কোর করে ব্রোঞ্জপদক জেতেন।

নারীদের বিভাগে ইরানের হানিয়ে রোস্তামিয়ান ৫৮০ স্কোরে স্বর্ণ, একই দেশের গোলনোশ সেবগাতুলহি ৫৭৯ স্কোরে রুপা ও ভারতের বাকার মানু ৫৮৭ স্কোরে ব্রোঞ্জ জেতেন।

নিজের টাইমিং নিয়ে হতাশ বাংলাদেশের শুটার আরমিন আশা, ‘প্রায় দু’বছর পর কোনো আন্তর্জাতিক শুটিংয়ে অংশ নিয়েছি আমি। হোক তা অনলাইন। এর মধ্যে এক বছর হাতে পিস্তলই তুলিনি। এরচেয়ে ভালো আর কি হতে পারে।’

এনএ/রাতদিন

মতামত দিন