অবশেষে বুড়িমারী স্থলবন্দরে ভারতীয় ট্রাক চালকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা শুরু

প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাসের সংক্রমন ঠেকাতে লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দরে দেরীতে হলেও স্বাস্থ্য পরীক্ষা শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ। এ মাসের শুরুরদিকে শুধুমাত্র যাত্রীদের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা হতো। এতদিন ভারত থেকে আসা চালক বা হেলপারদের কোন ধরনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হতো না। গতকাল রাতদিননিউজসহ অন্যান্য পত্রিকায় খবরটি প্রকাশের পর ভারত থেকে আসা এই চালক ও হেলপারদের স্বাস্থ্যপরীক্ষা শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ।

লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত মেডিক্যাল টিম বসানো হয় গত ২৭ জানুয়ারি। শুরু থেকে কেবল থার্মোমিটার দিয়ে জ্বর মাপা হলেও গত ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের দেয়া হ্যান্ড থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে যাত্রীদের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা হতো।

আজ সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারি সকাল থেকে অভিবাসন চৌকির প্রবেশ মুখে রাস্তার পাশে বসে ভারতীয় ট্রাক চালক ও সহকারীদের তাপমাত্রা মাপাসহ স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা হচ্ছে। সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা এবং দুপুর ২ টা থেকে সন্ধ্য ৬ টা পযন্ত ২ সিফটে এই কার্যক্রম চালু রয়েছে।

সোমবার দুপুরে সরেজমিনে বুড়িমারী স্থলবন্দরের আর্ন্তজাতিক অভিবাসন চৌকির (আইসিপি) গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলা স্থাস্থ্য বিভাগের দুটি মেডিক্যাল টিম অভিবাসন চৌকির প্রবেশ মুখে কাস্টসম কর্মকর্তার কার্যালয়ের একটি কক্ষে পাসর্পোট যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছেণ।

অন্যদিকে অভিবাসন চৌকির প্রবেশ মুখে রাস্তার পাশে বসে ভারতীয় ট্রাক চালকদের হ্যান্ড থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে শরীরের তাপমাত্রা দেখছেন ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছেন চিকিৎসকরা ।

পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার মো. রাসেল আহম্মেদ জানান,‘ পাসর্পোট যাত্রীদের ও ভারতীয় ট্রাক চালকদের মাত্রাতিরিক্ত জ্বর, কাশি, সর্দি, শ্বাসকষ্ট, গলা ব্যথা বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা ও তাপমাত্রা মাপা হচ্ছে।

তিনি জানান, কারো শরীরে করোনার উপসর্গ পাওয়া গেলে তাকে বিশেষ সতর্কতার সাথে উপজেলা বা জেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পযর্বেক্ষনে রাখা হবে। এরপর ভাইরাস শনাক্ত করতে প্রয়োজনে ঢাকায় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রন ও গবেষণা ইনষ্টিটিউটে (আইডিসিআর) পাঠানো হবে।

তবে গতকাল পর্যন্ত এ ধরনের কাউকে পাওয়া যায়নি বলে জানান তিনি।

জেএম/রাতদিন