লালমনিরহাটের আদিতমারীতে এবার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক প্রধান শিক্ষককের বিরুদ্ধে পঞ্চম শ্রেণির দুই ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছে। লুৎফর রহমান নামের প্রায় ৫০ বছর বয়সী ওই শিক্ষককে সোমবার, ১৫ এপ্রিল বিকেলে পুলিশ গ্রেপ্তারের পর আদালতে পাঠিয়েছে। তিনি ভাদাই ইউনিয়নের বড়াবাড়ী এম এইচ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
এর আগে যৌন নিপীড়নের শিকার দুই ছাত্রীর একজনের মা প্রধান শিক্ষকের নামে থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, গত ৯ এপ্রিল দুপুরে বড়াবাড়ী এম এইচ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের টিফিনের সময় শিক্ষকদের কেউ নামাযে আবার কেউ খেতে যান। এমন সময় পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে নিজ অফিসে ডেকে নেন ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লুৎফর রহমান। এসময় ওই ছাত্রীর স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে টাকার প্রলোভন দেখিয়ে টয়লেটে যাওয়ার কূ-প্রস্তাব দেয়া হয় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
এজাহারে আরও বলা হয়, ঘটনার শিকার ওই ছাত্রী এরপর থেকে স্কুলে যেতে রাজি না হওয়ায় অভিভাবকরা তার সাথে কথা বলে বিষয়টি জানতে পারেন। পরে ওই ছাত্রীর আরেক বান্ধবীও লুংফর রহমানের হাতে যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছে বলেও জানতে পারে পরিবারটি। এরপর তাদের পরিবার প্রধান শিক্ষকের এমন যৌন হেনস্তার ঘটনা স্কুলের অন্যান্য শিক্ষকদের জানান।
তবে এতে কেনো সুরাহা না হওয়ায় এক ছাত্রীর মা সোমবার দুপুরে আদিতমারী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পরে বিকেলেই প্রধান শিক্ষক লুৎফর রহমানকে আদিতমারী সোনালী ব্যাংক এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আদিতমারী থানার ওসি (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম জানান, মামলার একমাত্র আসামি ও স্কুলের প্রধান শিক্ষক লুৎফর রহমানকে গ্রেপ্তারের পর আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে ঘটনাটি লিখিতভাবে আদিতমারীর ইউএনও আসাদুজ্জামানকে জানানো হলে তিনিও পরিবারটিকে আইনের আশ্রয় নেয়ার পরামর্শ দেন। পাশাপাশি ঘটনা তদন্ত করে তিন দিনের মধ্যে আদিতমারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে একটি প্রতিবেদন দেয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন ইউএনও।
এইচএ/রাতদিন
উত্তরের মুখ