আদিতমারীর স্ত্রী নির্যাতনকারী সেই স্বাস্থ্য সহকারী অবশেষে বরখাস্ত

লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার স্বাস্থ্য সহকারী ভবেশ চন্দ্র রায় ওরফে উত্তমকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। এর আগে গত ২৬ আগষ্ট স্ত্রী নির্যাতনের মামলায় গ্রেফতার হন তিনি

গতকাল রোববার, ৬ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় এ তথ্য নিশ্চিত করেন লালমনিরহাট সিভিল সার্জন ডা. নির্মলেন্দু রায়।

বরখাস্ত হওয়া স্বাস্থ্য সহকারী ভবেশ চন্দ্র রায় ওরফে উত্তম উপজেলার পলাশী ইউপির বড়াইবাড়ি মহিষাশ্বহর গ্রামের নিরঞ্জন কুমার রায়ের ছেলে। তিনি আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাস্থ্য সহকারী পদে কমলাবাড়ি ইউপির ২ নম্বর ওয়ার্ডে কর্মরত ছিলেন।

মামলার বিবরণে জানা গেচে, ভবেশ চন্দ্র রায় উত্তম ২০০৯ সালে বিথীকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর যৌতুক বাবদ আড়াই লাখ টাকা দাবি করেন উত্তম। বিথীর গরিব বিধবা মা টাকা দিতে না পারলে উত্তম বিথীকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেন এবং দ্বিতীয় বিয়ের হুমকি দেন। বিষয়টি নিয়ে বিথী রানী আদালতের আশ্রয় নেন। মামলার বিচারকার্য শুরুর পর্যায়ে কৌশলী ভবেশ চন্দ্র আগামীতে যৌতুক দাবি করবেন না এবং স্ত্রীকে নির্যাতন বা দ্বিতীয় বিয়ে করবেন না মর্মে আপস মীমাংসায় লিখিত দিয়ে আদালত থেকে মামলা নিষ্পত্তি করা হয়।

কিছুদিন আগে স্ত্রীর বিনা অনুমতিতে আপসের শর্ত ভেঙে যৌতুকলোভী ভবেশ চন্দ্র দ্বিতীয় বিয়ে করেন। এ কাজে বাধা দেয়ায় পুনরায় যৌতুকের আড়াই লাখ টাকা দাবি করে বিথী রানীর ওপর নির্যাতন চালান ভবেশ চন্দ্র।

এ ঘটনায় বিচার চেয়ে ১৬ আগস্ট ভবেশ চন্দ্রসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আদিতমারী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন বিথী। সেই মামলায় অভিযান চালিয়ে ২৬ আগস্ট (বুধবার) রাতে ভবেশকে গ্রেফতার করে পরদিন আদালতে পাঠায় আদিতমারী থানা পুলিশ।

রোববার, ৬ সেপ্টেম্বর ভবেশ চন্দ্রকে সাময়িক বরখাস্তের চিঠি আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পৌঁছালে অভিযুক্ত ভবেশ চন্দ্রকে সাময়িক বরখাস্ত করেন কর্তৃপক্ষ। তা গ্রেফতারের দিন থেকে কার্যকর হবে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

লালমনিরহাট সিভিল সার্জন ডা. নির্মলেন্দু রায় জানান, স্ত্রী নির্যাতনের মামলায় গ্রেফতার হওয়া স্বাস্থ্য সহকারী ভবেশ চন্দ্রকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। চিঠি দেরিতে পৌঁছালেও গ্রেফতারের দিন থেকেই তা কার্যকর হবে বলে জানান সিভিল সার্জন।