হাতীবান্ধায় ‘নৌকা’ চান সরওয়ার ‘স্যার’

বাবা ছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। ছেলে সরওয়ার হায়াত খান করতেন ছাত্রলীগ। এরপর ছাত্রলীগের রাজনীতি শেষে আ.লীগের বিভিন্ন পদে দীর্ঘ ৩৯ বছর ধরে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন তিনি।

ইউপি নিবার্চন থেকে শুরু করে সংসদ নির্বাচনেও দলীয় প্রার্থীকে জেতাতে মাঠ চষে বেড়িয়েছেন তিনি। জয়ও পেয়েছেন প্রায় সবক্ষেত্রে। দলের বিভিন্ন সংকটে গঠনমূলক ভুমিকা রেখে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় আ.লীগের ‘থিংক ট্যাংক’ হিসেবেও পরিচিত হয়ে ওঠেন।

সেই সরওয়ার হায়াত খান এবার নিজেই উপজেলা চেয়ারম্যান পদে লড়ে জনপ্রতিনিধি হয়ে মানুষজনের সেবা করতে চান। এজন্য আ.লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী তিনি। পেশায় শিক্ষক সরওয়ার হাতীবান্ধাজুড়ে সবার কাছে ‘স্যার’ হিসেবেই বেশি পরিচিত।

বুধবার, ২৩ জানুয়ারি দুপুরে হাতীবান্ধা সরকারি আলিমুদ্দিন কলেজের হলরুমে স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে ভোটযুদ্ধে নামার ঘোষণা দেন অধ্যক্ষ সরওয়ার হায়াত খান।

হাতীবান্ধায় বেশ কিছুদিন ধরেই তাঁকে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে পেতে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে ব্যানার-ফেস্টুন টানিয়ে নানাভাবে প্রচারণার কাজ চলছে।

সরওয়ার হায়াত খান জানান, দীর্ঘ ৩৯ বছর ধরে আ.লীগের বিভিন্ন পদে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন তিনি । তার প্রয়াত বাবা মাহাতাব উদ্দিন খান ছিলেন হাতীবান্ধা আ.লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। ছাত্রলীগের রাজনীতি করায় কারাভোগও করেছেন সরওয়ার।

১৯৮৫ সালে স্থানীয় এমপি ও সাবেক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোতাহার হোসেনের সাথে আ.লীগের রাজনীতি শুরু করেন তিনি।

১৯৯০ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত ছিলেন দলটির শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক। ২০০১ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত হাতীবান্ধা উপজেলা আ‘লীগের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন সরওয়ার হায়াত খান।

এরপর ২০০৫ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত টানা ৭ বছর উপজেলা সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন তিনি। বর্তমানে লালমনিরহাট জেলা আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে আছেন।


‘দলীয় নেতাকর্মীর পাশাপাশি সাধারণ মানুষজন আমাকে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে চাইছেন। তাই তাদের ভালোবাসায় আমি নির্বাচন করবো’

এলাকায় মোতাহার হোসেনের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত সরওয়ার হায়াত খান। রাজনীতির পাশাপাশি একজন শিক্ষাণুরাগী ব্যক্তিত্ব হিসেবেও পরিচিত রয়েছে তাঁর।

বর্তমানে তিনি সদ্য জাতীয়করণ হওয়া হাতীবান্ধা সরকারি আলিমুদ্দিন কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

সরওয়ার হায়াত খান বলেন, ‘দলীয় নেতাকর্মীর পাশাপাশি সাধারণ মানুষজন আমাকে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে চাইছেন। তাই তাদের ভালোবাসায় আমি নির্বাচন করবো’।

নির্বাচনে প্রার্থী হতে তাঁর কোনো বাঁধা নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘৩৯ বছর ধরে আওয়ামীলীগের নেতৃত্ব দিয়ে আসছি। সে কারণে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে মনোনয়ন দিবেন বলে আশা করি’।

এমআরডি/২৩.০১.১৯