এইচএসসির ফল শনিবার

করোনার কারণে বাতিল হওয়া ২০২০ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল শনিবার (৩০ জানুয়ারি) প্রকাশ করা হবে। রাজধানী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে সকাল সাড়ে ১০টায় ফলাফল আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হবে। দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এভাবে ফল প্রকাশিত হতে যাচ্ছে। 

শুক্রবার শিক্ষা মন্ত্রণালয় জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল খায়ের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি ফলাফল প্রকাশের যুক্ত থাকবেন বলে জানা গেছে।  

রীতি অনুযায়ী পাবলিক পরীক্ষার ফল প্রকাশের আগে প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি নেওয়া হয় এবং আনুষ্ঠানিকভাবে ফল প্রকাশের আগে ফলাফলের সারসংক্ষেপ তার হাতে তুলে দেন শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান। সেখানে শিক্ষামন্ত্রীসহ মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকেন। তবে এবার  করোনার কারণে এ রীতির ব্যতয় ঘটিয়ে ভার্চ্যুয়ালি হবে এসব আনুষ্ঠানিকতা। সকাল সাড়ে ১০টায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে ভার্চ্যুয়ালি ফলাফল তুলে দেবেন বোর্ড চেয়ারম্যানরা। এরপর আনুষ্ঠানিকভাবে ফল প্রকাশ করা হবে।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে এবার পরীক্ষা ছাড়া এসএসসি, জেএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের গড় মূল্যায়ন করা হচ্ছে।

বিশেষ পদ্ধতিতে মূল্যায়নের এই ফল প্রকাশের জন্য শিক্ষাবোর্ডকে ক্ষমতা দিয়ে ইতোমধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

ওই প্রজ্ঞাপনের মধ্যে দিয়েই এই ফল প্রকাশের আইনি জটিলতা কেটেছে।

বুধবার (২৭ জানুয়ারি) ৩০ ও ৩১ জানুয়ারি এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে সময় চাওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শনিবার সময় দেওয়ায় এইদিন এ ফল প্রকাশ হচ্ছে।

গত বছরের অক্টোবরে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন, ২০২০ সালে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার না নিয়ে জেএসসি এবং এসএসসি ফলাফলের গড়ের ভিত্তিতে এইচএসসির ফল দেওয়া হবে।  জেএসসিতে ২৫% এবং এসএসসিতে ৭৫% ধরে এ ফল তৈরি করা হবে।

২০২০ সালে ৯টি সাধারণ, কারিগর ও মাদ্রাসা মোট ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ৭৮৯ জন শিক্ষার্থী এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা দেয়ার কথা ছিল। পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল গত বছরের ১ এপ্রিল। কিন্তু করোনাভাইসের প্রকোপ বাড়তে শুরু করলে ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়। এর মধ্যে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় পরীক্ষা নেয়া সম্ভব হয়নি।

এনএ/রাতদিন

মতামত দিন