এবার কুড়িগ্রামে কিশোরকে অমানবিক নির্যাতন

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলায় মসজিদের সোলার প্যানেল ও ব্যাটারি চুরির অভিযোগে এক কিশোরকে তার মায়ের সামনে অমানবিক নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয়দের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল সোমবার, ২২ জুন উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়নের মংলারকুটি গ্রামে।

এ ঘটনায় এক ইউপি সদস্যসহ দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতরা হলেন- ইউপি সদস্য রাজু আহম্মেদ ও স্থানীয় মাতব্বর জাফর আলী।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, মংলারকুটি মসজিদের সোলারের ব্যাটারি চুরির সন্দেহে একই গ্রামের জসীম উদ্দিনের ছেলে কিশোর মাহাবুবুর রহমানকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে প্রথমে গাছের সঙ্গে বেঁধে পরে বাশডলা দিয়ে মধ্য যুগীয় কায়দায় নির্যাতন করে স্থানীয় কিছু ব্যক্তি।

কিশোরকে নির্যাতনের সময় স্থানীয় ইউপি সদস্য সেখানে উপস্থিত ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।

ওই সময় কিশোরের মা মালেকা বেগম ছেলেকে উদ্ধার করতে গেলে নির্যাতনের মাত্রা আরো বেড়ে যায়। এক পর্যায়ে কিশোর মাহবুবুর অজ্ঞান হয়ে পরলে মায়ের সঙ্গে বাড়িতে পাঠায় তারা। পরে ওই কিশোরকে ভূরুঙ্গামারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে তার মা।

এদিকে এই অমানবিক ঘটনা এলাকায় আলোচনা সৃষ্টি হলে রাতেই অভিযুক্তদের ধরতে মাঠে নামে পুলিশ।

স্থানীয়রা জানায়, ১৫/১৬ দিন আগে মংলার কুটি গ্রামের মসজিদ থেকে একটি সোলার প্যানেল এবং ব্যাটারি চুরি হয়। চোর সন্দেহে স্থানীয় জাফর আলী মুন্সী, আব্দুল হান্নানসহ ১০/১২ জন মাহবুবুর রহমানকে (১৫) বাড়ি থেকে ডেকে এনে জাফর আলী মুন্সীর বাড়িতে  ইউপি সদস্য রাজুর সামনে অমানবিক নির্যাতন চালায়। তবে ইউপি সদস্য রাজু আহম্মেদ এর পরিবারের লোকজনদের দাবি ওই কিশোরকে উদ্ধার করার জন্য সেখানে গিয়েছিলেন তিনি।

কচাকাটা থানার ওসি মামুন অর রশিদ জানান, রাতেই অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত দুজনকে আটক করা হয়েছে এবং মামলার প্রস্তুতি চলছে।

এবি/রাতদিন