এবার ভারত থেকে মানুষ ঢুকছে বাংলাদেশে, সহায়তা দিচ্ছে বিএসএফ

সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে। ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্তসহ প্রায় প্রতিদিনই বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে ঢুকছে শত-শত নারী-পুরুষ। চলতি মাসের ১ তারিখ থেকে ১৯ তারিখ পর্যন্ত অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে দু শ তিনজন নারী-পুরুষ ও শিশুকে আটক করেছে বিজিবি।

জেলা প্রশাসনের ভাষ্যমতে, আটক অনুপ্রবেশকারীরা দাবি করছে তারা বাংলাদেশেরই নাগরিক। কাজের জন্য ভারতে গিয়েছিলো। এখনা নানা কারণে বাংলাদেশে ফিরে আসছে।

অন্যদিকে বিজিবি বলছে, মাইগ্রেশন করে যারা ভারতে গিয়েছিলেন, তাদের সেখানে বসবাসে অসুবিধা হচ্ছে। নানাভাবে তারা চাপের মধ্যে পড়েছেন। তারাই ফিরে আসছে।

স্থানীয়রা বলছেন, বিজিবি প্রতিদিন যে পরিমাণ আটক করেছেন তার চেয়ে অধিক অনুপ্রবেশ করছে।

অনুপ্রবেশকারীরা বলছেন, ভারতের একটি সরকারি বাহিনীর চাপে ভারত ছেড়ে বাংলাদেশে আসতে বাধ্য হচ্ছেন তারা।

জানা গেছে, জেলার মহেশপুর উপজেলার জুলুলী, খোসালপুর, বাঘাডাঙ্গা, পলিয়ানপুর ও শ্যামকুড় সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিন অবৈধভাবে ভারত থেকে বাংলাদেশে আসছে শত-শত নারী-পুরুষ।

পুলিশ জানিয়েছে, চলতি মাসের ১ তারিখ থেকে ১৯ তারিখ পর্যন্ত ৫৮ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের হাতে আটক হয়েছেন দু শ তিনজন। যাদের অধিকাংশই মুসলিম সম্প্রদায়ের। ভারতের আসাম ও বেঙ্গালুরুসহ বিভিন্ন এলাকায় বসবাস করা এ মানুষগুলোকে ভারতের নাগরিক পঞ্জির (এনআরসি) অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। যে কারণে ভারত সরকারের একটি সরকারি বাহিনীর চাপে তাদের দেশ ছাড়তে হচ্ছে বলে অভিযোগ তাদের।

আর সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, অরক্ষিত সীমান্ত দিয়ে রাতের আঁধারে শত শত নারী-পুরুষ প্রবেশ করছেন। এতে সহায়তা করছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।

মানবাধিকারকর্মী আমিনুর রহমান টুকু জানান, দু’দেশের সরকারের উদ্যোগ নেয়া উচিত সমস্যা সমাধানে।

এদিকে মহেশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদুল আলম জানান, যারা আটক হয়েছেন তারা বাংলাদেশি নাগরিক। বিভিন্ন সময় কাজের সন্ধানে তারা ভারতে গিয়েছিলেন। মহেশপুর উপজেলার বিজিবি সীমান্ত থেকে আটকদের মধ্যে ৬৪ জন পুরুষ, ৭৫ জন নারী ও শিশু রয়েছে ৬৪ জন। আটকদের বেশির ভাগ মানুষের বাড়ি বাগেরহাট ও মোড়লগঞ্জ এলাকায়।

জেলার সীমান্ত এলাকা ৭০ কিলোমিটার এর মধ্যে ১০ কিলোমিটারে কাঁটাতারের বেড়া দেয়া নেই বলে জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা। সুত্র: বাংলা রিপোর্ট।

জেএম/রাতদিন