এমএ ওয়াজেদ মিয়ার ৭৯ তম জন্মবার্ষিকী আজ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিশিষ্ট পরমানু বিজ্ঞানী প্রয়াত ড. এমএ ওয়াজেদ মিয়ার ৭৯ তম জন্মবার্ষিকী আজ। ১৯৪২ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারী রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার ফতেহপুর গ্রামে মিয়া পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর ডাক নাম সুধা মিয়া।

বাবা আব্দুল কাদের মিয়া এবং মা ময়জুন্নেসার তিন কন্যা ও চার পুত্রের মধ্যে তিনি সর্ব কনিষ্ঠ।

পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে, ওয়াজেদ মিয়া পীরগঞ্জ সদর ইউনিয়নের চককরিম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপ্ত করেন। ১৯৫৬ সালে রংপুর জিলা স্কুল থেকে ডিসটিনকশনসহ প্রথম বিভাগে মেট্রিকুলেশন পাশ করেন।

ম্যাট্রিক পাশ করার পর ১৯৫৮ সালে রাজশাহী সরকারি কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট, ১৯৬২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিজ্ঞানে এমএসসি পাশ করেন। তিনি ১৯৬৭ সালে লন্ডনের ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞানে পড়ার সময় থেকেই ধীরে ধীরে আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পড়েন। ১৯৬১ সালে ফজলুল হক হলের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ছাত্রলীগ থেকে সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিজ্ঞানে এমএসসি পাশ করার পর ১৯৬৩ সালে তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্থানের লাহোরে আণবিক শক্তি কমিশনে তিনি চাকরিতে যোগ দেন।

১৯৬৭ সালে লন্ডনের ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট ডিগ্রি লাভের পর দেশে ফিরে একই বছরের ১৭ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে তিনি বিয়ে করেন। স্বৈরশাসন বিরোধী আন্দোলনের কারণে ওয়াজেদ মিয়া কিছুদিন কারান্তরীন ছিলেন।

১৯৭১ সালে এদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং এর আগে ও পরের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তার উপস্থিতি ছিল উল্লেখযোগ্য। ১৯৯৯ সালে তিনি আণবিক শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে অবসর নেন।

সুত্রটি জানায়, দীর্ঘদিন কিডনির সমস্যাসহ হৃদরোগ ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হয়ে ২০০৯ সালের ৯ই মে বিকেল ৪টা ২৫ মিনিটে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৬৭ বছর। তাকে গ্রামের বাড়ী ফতেহপুরে মিয়াবাড়ীর কবরস্থানে সমাহিত করা হয়।

জেএম/রাতদিন

মতামত দিন