ওয়াজ মাহফিলের বক্তাদের কর দিতে হবে

এবার করের আওতায় আসছেন ওয়াজ মাহফিলের বক্তারা। সেই সঙ্গে ওয়াজের মাধ্যমে ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতা ছড়ানো, জঙ্গিবাদে উৎসাহ দেওয়া, নারীদের নিয়ে কটূক্তির বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার চিন্তাও করা হচ্ছে। এসব বিষয়ে সম্প্রতি ছয়টি সুপারিশ করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

সুপারিশের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও সব বিভাগীয় কমিশনারের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

ওয়াজ-মাহফিলে বক্তাদের মধ্যে যারা চুক্তিভিত্তিক অর্থগ্রহণ করেন তারা আয়কর দিচ্ছেন কিনা তা খতিয়ে দেখার সুপারিশ করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে ইসলামিক ফাউন্ডেশনকে জরুরি পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, উচ্চশিক্ষিত বক্তাদের যেন নিবন্ধনের আওতায় আনা হয়।



স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল এ প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘ওয়াজ মাহফিলে কী ধরনের বক্তৃতা হয় তা সব সময় প্রতিবেদন আকারে আমাদের কাছে আসে। আমরা সেই অনুযায়ী কাজ করি। আর বক্তারা কীভাবে করের আওতায় আসবেন তা দেখবে আয়কর বিভাগ।’

এ নিয়ে সংবাদমাধ্যম বাংলাট্রিবিউন একটি প্রতিবেদন করেছে। এতে বলা হয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে বর্তমান সময়ের বক্তাদের আলোচ্য বিষয় নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়েছে। নারী সম্পর্কিত বয়ানে কী কী আলোচনা করা হয়, মঙ্গল শোভাযাত্রাসহ পহেলা বৈশাখে নববর্ষ পালন নিয়ে বক্তাদের মন্তব্যের সারাংশ ও সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ নিয়ে বক্তাদের কিছু বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে রাষ্ট্রের আইনবিরোধী মন্তব্য হিসেবে মাহফিলের বিভিন্ন বক্তাদের মন্তব্যও যুক্ত করা হয়েছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গবেষণা বিভাগের পরিচালক নূর মোহাম্মদ আলম। তিনি বলেন, ‘আমরা গবেষকদের সঙ্গে কথা বলছি। এ ব্যাপারে কী করা যায়, বক্তাদের ডাকব নাকি তাদের চিঠি দেব; এসব বিষয় সভায় ঠিক হবে। এরপর আমরা পরবর্তী কার্যক্রম শুরু করব।’

এইচএ/রাতদিন