কন্যা সন্তান বিক্রি করে ছেলের জন্য সোনার চেইন, নিজের জন্য মোবাইল কিনলেন বাবা!

যমজ সন্তান হয়েছিল তামিলনাড়ুর ইয়েসুইরুদ্ধরাজের। একটি ছেলে ও একটি মেয়ে। কিন্তু, তাতে খুশি ছিলেন না তিনি। তাই, ছেলেকে রেখে মেয়েকে বিক্রি করে দেন তিনি। শুধু তাই নয় সেই টাকায় নিজের জন্য নতুন মোবাইল ও ছেলের জন্য সোনার হার কেনেন তিনি।

গত ৮ নভেম্বর এক সরকারি হাসপাতালে ইয়েসুইরুদ্ধরাজের স্ত্রী পুষ্পলতা এই যমজ সন্তানের জন্ম দেন।

কয়েকদিন হাসপাতালে কাটিয়ে দুই সন্তানকে নিয়ে তাঁরা বাড়ি ফেরেন। কিন্তু ইয়েসুইরুদ্ধরাজের মাথায় ছিল অন্য পরিকল্পনা।

গত সপ্তাহে তাঁরা ফের হাসপাতালে যান রুটিন চেকআপের জন্য। কিন্তু সেখানে চিকিত্সকরা দেখেন, ছেলেকে নিয়ে আসা হয়েছে, মেয়েটি তাদের সঙ্গে নেই। তাঁরা ইয়েসুইরুদ্ধরাজ এবং পুষ্পলতাকে জিজ্ঞেস করেন, শিশুকন্যাটি কোথায়? পুষ্পলতা জানান, মেয়েকে বিক্রি করে দিয়েছেন ইয়েসুইরুদ্ধরাজ।

এর পর সেখানেই ঝগড়া শুরু হয়ে যায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে। ইয়েসুইরুদ্ধরাজের দাবি, শিশুকন্যা বিক্রির বিষয়ে স্ত্রী পুষ্পলতা সব জানেন। পুষ্পলতা দাবি করেন, তাঁকে না জানিয়েই মেয়েকে বিক্রি করেছেন ইয়েসুইরুদ্ধরাজ। এমনকি সেই টাকায় মোবাইল, সোনার হার কেনা ছাড়াও বন্ধক রাখা একটি বাইক ও সাইকেল ছাড়ানো হয়েছে। সবই হয়েছে পুষ্পলতাকে না জানিয়ে।

শিশু বিক্রির খবর সামনে আসতেই হাসপাতাল থেকে খবর যায় থানায়। পুলিশ হাসপাতালে এসে জেরা করে ইয়েসুইরুদ্ধরাজকে। তখনই সব তথ্য বেরিয়ে আসে।

ইয়েসুইরুদ্ধরাজ জানান,এক নিঃসন্তান দম্পতির কাছে ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয় কন্যা সন্তানটি। এর মধ্যে এক লক্ষ টাকা পেয়েছেন তিনি। আর অবশিষ্ট ৮০ হাজার টাকা পেয়েছেন তিন দালাল।

তদন্তকারী অফিসারকে উদ্ধৃত করে সংবাদমাধ্যম টিএনএম জানিয়েছে, ইয়েসুইরুদ্ধরাজ এবং তিন দালালকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যিনি শিশু কন্যাটি কিনেছিলেন তাঁকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। সুত্র: আনন্দবাজার।

জেএম/রাতদিন