চীনে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ৭০০ ছাড়িয়ে গেছে। এছাড়া চীনের বাইরে হংকং ও ফিলিপাইনে একজন করে মারা গেছে। এর মধ্যেই এ ভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা এখন ৩৪ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। মারণ এই ভাইরাস সংক্রমণে চীনের পরেই রয়েছে জাপান। এরকম খবর প্রকাশ করেছে সংবাদমাধ্যম সিএনএন ও বিবিসি।
সিএনএন’র প্রতিবেদনে বলা হয়, সারাবিশ্বে করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৭০০ ছাড়িয়ে গেছে। সবমিলিয়ে এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যাও ৩৪০০০ ছাড়িয়ে গেছে।
এদিকে বিবিসি জানায়, করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত ৭২২ জনের মৃত্যূ হয়েছে। এছাড়াও এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৩৪ হাজার ৫৪৬ জনে। করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি চীনে, এরপর দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে জাপান।
গত বছরের ডিসেম্বরে প্রথমবারের মতো চীনের হুবেই প্রদেশের উহানে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর চীনসহ প্রায় ২৭টির বেশি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস। ভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা এবং প্রাণহানি বাড়তে থাকায় এরই মধ্যে জরুরি অবস্থা জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
প্রতিদিন বাড়ছে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মৃতের সংখ্যা। তবে আশার খবর হলো এই ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিরা সুস্থ হয়ে বাড়িও ফিরছেন।
চীন থেকে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। ফলে কোনো কোনো দেশ চীনা নাগরিকদের নিজ দেশে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
এ পরিস্থিতিতে মাত্র ৩৫ দিনেই চীনের অর্থনীতিতে মারাত্মক প্রভাব পড়েছে। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটির সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ রয়েছে এমন দেশের অর্থনীতিও ঝুঁকিতে পড়েছে। বাংলাদেশের জন্য এই ঝুঁকি অনেকের চেয়ে বেশি।
জেএম/রাতদিন
উত্তরের মুখ