করোনা আতংকের মধ্যে কুড়িগ্রামে বণ্যহাতির তান্ডব, নির্ঘুম গ্রামবাসী

কুড়িগ্রামের রাজীবপুরে বন্য হাতির তাণ্ডবের ভয়ে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন এলাকাবাসী। উপজেলার মিয়া পাড়া সীমান্তের রৌমারীর আলগার চর এলাকার মানুষেরা গত শুক্রবার থেকে এই আতংকে দিন কাটাচ্ছে।

শুক্রবার, ৮ মে ভারতীয় বন্য হাতির একটি দল রাতের আঁধারে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে। দলটি কৃষকের বোরো ধান ক্ষেতের ক্ষতি করে নোম্যান্সল্যান্ডে অবস্থান করছে।

এরইমধ্যে হাতির দল রাজীবপুর উপজেলার মিয়াপাড়া, বাউল পাড়া, জালচিড়া পাড়া ও বালিয়ামারী সীমান্তবর্তী এলাকার এবং ভারতের বলদান গিরির এলাকার বেশ কিছু উঠতি ফসলের ক্ষতি করেছে।

এরইমধ্যে বালিয়ামারী বর্ডার হাটের দক্ষিণ পাশের শহিদুল ইসলামের ২ বিঘা ক্ষেতের পাকা বোরো ধান খেয়ে ও পদদলিত করে নষ্ট করেছে বুনো হাতির দল। এ কারণে সীমান্তে এলাকাবাসীর মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

শুক্রবার গভীর রাত পর্যন্ত দুই দেশের সীমান্তের নোম্যান্সল্যান্ডে অবস্থান করেছে বন্য হাতির পালটি। ভারত ও বাংলাদেশের উঠতি ফসল যাতে নষ্ট করতে না পারে সেজন্য সীমান্তের মানুষজন যথাসাধ্য চেষ্টা করছেন।

স্থানীয় ইউপি মেম্বার আজাদ হোসেন খাঁ  জানান, সীমানা পিলার ১০৭২ এর উত্তর পাশ দিয়ে ৫০ থেকে ৬০টি বন্য হাতি ভারতের কাঁটাতারের বেড়া অতিক্রম করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে। হাতির দলকে দেখে বাংলাদেশ ও ভারতের কৃষকরা বোরো ধান রক্ষার্থে দু’দেশের সীমান্ত থেকে ঢাক-ঢোল পিটিয়ে, আগুন জালিয়ে, পটকা ফাটিয়ে ও নিজেদের শ্যালো ম্যাশিন চালু করে তাদের তাড়ানোর চেষ্টা করে যাচ্ছেন।

জেএম/রাতদিন