করোনা গোপন করা একটি অপরাধ, শাস্তি জেল-জরিমানা

করোনার এই মহা দু:সময়ে কারও জ্বর-কাশি বা কোনো লক্ষণ-উপসর্গ দেখা দিলে গোপন না রেখে পরীক্ষা করার আহ্বান জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। সংস্থাটি বলেছে, করোনার কোনো লক্ষণ-উপসর্গ দেখা দিলে অবশ্যই নমুনা পরীক্ষা করতে হবে। মহামারী রোগ গোপন করা একটি অপরাধ।

শুক্রবার, ৭ আগষ্ট দুপুরে নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে একথা বলেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডা. নাসিমা সুলতানা।

ডা. নাসিমা বলেন, আমরা কয়েক দিন আগেই কোরবানির ঈদ উদযাপন করেছি। পশুর হাটে অনেক লোক সমাগম হয়েছে। ঈদ উৎসব পালন করতেও আমরা অনেকে সমবেত হয়েছি। এই মুহূর্তে যে কারও লক্ষণ-উপসর্গ থাকলে অবশ্যই নমুনা পরীক্ষা করতে হবে। কোনো রকম জ্বর-কাশি হলে গোপন করব না।

তিনি বলেন, যেহেতু মহামারী রোগ গোপন করা একটি অপরাধ। কাজেই মহামারীর কোনো লক্ষণ, উপসর্গ দেখা দিলে অবশ্যই নমুনা পরীক্ষা করতে হবে এবং এই রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করতে হবে।

প্রসংগত, ‘সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন, ২০১৮’ বিধান অনুযায়ী, সংক্রামক রোগের কথা গোপন রাখার পর এই রোগে আক্রান্ত কারো মাধ্যমে তার বিস্তার ঘটালে তাকে কারাভোগের পাশাপাশি জরিমানা গুণতে হবে।

এই আইনে বলা আছে, যদি কোনো ব্যক্তি সংক্রামক রোগের বিস্তার ঘটান বা ঘটতে সহায়তা করেন বা স্থানের সংস্পর্শে আসার সময় সংক্রমণের ঝুঁকির বিষয়টি গোপন করেন তাহলে তা অপরাধ বলে গণ্য হবে। এই অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ ছয় মাস কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড দেয়া হবে।

জেএম/রাতদিন