‘করোনা মোকাবেলায় ভারতই গোটা বিশ্বকে পথ দেখাবে’

করোনা আতঙ্কে কাঁপছে সারা বিশ্ব। এরই মধ্যে পৃথিবীর ১৯৩টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়েছে মারণ এই ভাইরাস। মৃতের সংখ্যার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যাও। প্রতিদিনই প্রাণ হারাচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ। তবে আশ্চর্যের বিষয় হলো ১৩৩ কোটি মানুষের দেশ ভারতে করোনার বিস্তার ও মৃত্যুর সংখ্যা তুলনামূলক অনেক কম। সীমিত স্বাস্থ্য সেবা অবকাঠামো নিয়েও ভারতবাসীর সম্মিলিত লড়াই এই মহামারিকে এখনও অন্য দেশের মতো বিপজ্জনক পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারেনি। মহামারির আতঙ্কের মধ্যেও এ যেন বিশাল সফলতা।

এবার ভারতবাসীর এই সম্মিলিত লড়াইয়ের প্রশংসা করল খোদ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সংস্থাটির একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা মাইকেল জে রায়ান বলছেন,’অতীতে মহামারি রুখে দেওয়ার অভিজ্ঞতা ভারতের আছে। এই মহামারি রুখতে ভারতই গোটা বিশ্বকে পথ দেখাবে।’

জে রায়ান বলছেন, ‘অতীতে ভারত গুটি বসন্ত, পোলিওর মতো মহামারি আটকে দিয়েছে। সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়েই এ দেশ করোনাভাইরাসেরও মোকাবিলা করবে। তিনি বলেন, ‘ভারত খুবই জনবহুল দেশ। এখানে কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। তবে ভারত আগে দুটি মহামারির মোকাবিলা করেছে। মহামারি রুখে দেওয়ার ক্ষমতা এ দেশের আছে।’

রায়ান স্বীকার করেন যে, করোনার প্রকোপ কবে কমবে সে উত্তর তাদের কাছে নেই। তবে ভারত যে এই মহামারি রুখতে অগ্রণী ভূমিকা নিতে পারে, সেটাও স্পষ্ট করে বলেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘করোনা কবে থামানো যাবে এ প্রশ্নের উত্তর দেওয়া খুব কঠিন। তবে ভারতের মতো দেশ অতীতেও গোটা বিশ্বকে পথ দেখিয়েছে। আগামী দিনেও দেখাবে আশা করা যায়।’

সার্বিকভাবে প্রশংসা করলেও ভারতে করোনা পরীক্ষার কিটের অভাব নিয়ে উদ্বিগ্ন রায়ান। তিনি বলছেন, ভারতে করোনা পরীক্ষার জন্য ল্যাবরেটরির সংখ্যা আরও বাড়ানো উচিত।

পরিসংখ্যান বলছে, আপাতত ভারতে সরকারিভাবে সপ্তাহে ৫ হাজার জনের মতো মানুষের করোনা পরীক্ষা করার সুবিধা আছে। ২২ মার্চ পর্যন্ত ভারতে প্রায় ১৬ হাজার জনের পরীক্ষা হয়েছিল। সরকার কিছু বেসরকারি হাসপাতালকে করোনা পরীক্ষার অনুমতি দিলেও তারা এখনও উপযুক্ত পরিকাঠামো তৈরি করতে সক্ষম হয়নি।

উল্লেখ্য, ভারতে এখন পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের। আক্রান্ত হয়েছে ৫১১ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছে ১৬৬ জন।

এবি/রাতদিন