কর্মকর্তা-কর্মচারিদের কর্মবিরতিতে স্থবির বেরোবি’র প্রশাসনিক কার্যক্রম

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের কর্মবিরতির তৃতীয় দিনে আলাদাভাবে কর্মবিরতি শুরু করেছে চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারি ইউনিয়ন।

বুধবার, ১৩ মার্চ ১০ দফা দাবি আদায়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের শেখ রাসেল চত্বরে কর্মবিরতি শুরু করে কর্মচারি ইউনিয়ন।

দুই পক্ষের এই কর্মবিরতিতে কার্যত স্থবির হয়ে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম।

বকেয়া বেতন পরিশোধ, পেনশন নীতিমালার বাস্তবায়ন ও বরখাস্তকৃত কর্মচারীদের চাকরিতে পুণর্বহালসহ বিভিন্ন দাবি রয়েছে কর্মচারি ইউনিয়নের।

কর্মচারি ইউনিয়নের সভাপতি নুর আলম বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দ্রæত আমাদের দাবি মেনে নেবে বলে আশাকরি। সেটা করা না হলে কর্মবিরতি চলবে।’

এদিকে টানা তৃতীয় দিনের মতো কর্মবিরতি অব্যহত রেখেছে বেরোবি অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন। উপাচার্যের ব্যক্তিগত সচিব (পিএস) আমিনুর রহমানকে অব্যাহতি, ডেপুটি রেজিস্ট্রার গোলাম মোস্তফাকে সংস্থাপন শাখা থেকে অন্য দপ্তরে বদলিসহ ১১ দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি করছেন তারা।

অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমাদের ১১ দফা দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কর্মকর্তা-কর্মচারিদের কর্মবিরতির কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের দাপ্তরিক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। ফলে এক প্রকার ভেঙে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম।

এ বিষয়ে বিশ্ব বিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কমিলমউল্লাহ এবং রেজিস্ট্রার আবু হেনা মোস্তফা কামালের মোবাইল ফোনে দফায় দফায় ফোন দেয়া হলেও কেউই তা রিসিভ করেননি।

এইচএ/রাতদিন