কালীগঞ্জে দুই ব্যক্তির দ্বন্দে ক্যানেল বন্ধ, পানিতে ভাসছে শতাধিক পরিবার

লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের (ওয়াপদার) পানি নিষ্কাশনের ক্যানেল বন্ধ করে করে দিয়েছে এক ব্যক্তি। জমি কিনতে না পেরে সৃষ্ট দ্বন্দে মাছ চাষের অজুহাতে ওই ক্যানেলটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এতে উপজেলার কাকিনা ইউনিয়নের ইশোরকোল এলাকার শতাধিক পরিবারের ঘরবাড়িসহ ফসলি ক্ষেত তলিয়ে গেছে পানিতে। ফসল নষ্ট হয়ে সর্বস্বান্ত হওয়ার পথে ওই পরিবারগুলো।

জানাগেছে, উপজেলার কাকিনা ইউনিয়নের ইশোরকোল এলাকার এসপারুল হক তার পাশের একটি জমি কিনতে চান। কিন্তু এসপারুলের প্রতিবেশী সেকান্দার আলী বেশী দামে ওই জমি বেশি কেনেন।

এ থেকেই ওই দুজনের দ্বন্দ শুরু হয়। প্রতিবেশীকে শায়েস্তা করতে প্রায় ৪ বছর আগে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি নিষ্কাশন ক্যানেলে মাছ চাষ করার জন্য বাঁধ দিয়ে পুকুর তৈরি করে এসপারুল। এতেই ক্যানেলের পানি আটকে ওই এলাকার প্রায় ৩ কিলোমিটারে প্লাবিত হচ্ছে কয়েকশ ঘর-বাড়ি। নষ্ট হচ্ছে ফসলী ক্ষেত। নিঃস্ব হচ্ছে শতাধিক পরিবার।

এদিকে উপায় না পেয়ে ওই এলাকার পানি বন্দি পরিবাররা স্থানীয় ইউপি সদস্য ও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহিদুল হকের কাছে অভিযোগ জানালেও তারা বিষয়টি সমাধান করতে পারেন নি। স্থানীয় প্রশাসন ব্যর্থ হলে তারা বিষয়টি নির্বাহী অফিসারকে জানানোর জন্য এলাকাবাসীকে পরামর্শ দেন।

এর প্রেক্ষিতে গত রোববার, ২৬ জুলাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেন এলাকাবাসী।

লিখিত অভিযোগে স্থানীয়রা দাবী করেছেন, টানা বর্ষণে পুরো এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। ঘর-বাড়িসহ নষ্ট হয়েছে আমন বীজতলা। এতে করে চাষিরা হতাশ ও উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। পাশাপাশি বৃষ্টির পানিতে ভেসে গেছে মৎস্য ঘের।

ওই গ্রামের তাজিনা বেগম বলেন, পানির কারণে আমরা বিছানার উপড়ে রান্না করে শিশুদের খাওয়াচ্ছি।

অভিযোগ দেয়ার পরেও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কেউ তদন্ত কিংবা পরিদর্শন করেননি বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।

কাকিনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহিদুল হক জানান, বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার বৈঠক হয়েছে কিন্তু তাদের দুজনের দ্বন্দের কারণে সমাধান হয় নি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রবিউল হাসান জানান, লিখিত অভিযোগ একটি পেয়েছি। এ বিষয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে কথা বলে পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা নেয়া হবে।

জেএম/রাতদিন