লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে ধর্ষণের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে নির্যাতিতাকে প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যপারে থানায় অভিযোগপত্র দেয়ার পর থেকে অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি হুমকি দিচ্ছেন নির্যাতিতা ওই গৃহবধূকে। হাসপাতালের বেডে চোখের পানি মুছে তাদের বিচার দাবি করেন তিনি। ‘বিচার না পেলে আত্মহত্যা ছাড়া আর কোন উপায় থাকবে না’ -এমনটা বলছিলেন নির্যাতনের শিকার ওই নারী।
শুক্রবার, ১০জুন বিকেলে কালীগঞ্জ স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি থাকা ওই নারীর সাথে কথা বলেন প্রতিবেদক। এর আগে বৃহস্পতিবার, ৯ জুন রাতে এ ঘটনায় বিচার দাবি করে কালীগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিত গৃহবধূ।
নির্যাতিতা গৃহবধূ উপজেলার তুষভান্ডার ইউনিয়নের বৈরাতী এলাকার বাসিন্দা।
দায়ের করা অভিযোগসুত্রে জানা গেছে, প্রতিবন্ধী সন্তানসহ বাড়িতে থাকতেন ওই গৃহবধু। গত ৬জুন রাতে প্রকৃতির ডাকা সাড়া দিতে ঘরের বাহিরে বের হন তিনি। এ সময় ওঁতপেতে থাকা তার প্রতিবেশী মৃত জমির আলীর ছেলে একরামুল হক(৪৮) তার মুখ চেপে ধরে পাশের বাঁশ বাগানে নিয়ে বিবস্ত্র করে ধর্ষণের চেষ্টা করে।
গৃহবধূ চেষ্টা করে মুখ খুলে চিৎকার দিলে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে একরামুল হক গলা চেপে গৃহবধূকে হত্যার চেষ্টা করে। তার আর্তচিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এলে একরামুল পালিয়ে যান।
পরে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় বাঁশ বাগান থেকে গৃহবধূকে উদ্ধার করে রাতেই কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে কালীগঞ্জ থানায় একরামুলের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতা ওই নারী।
নির্যাতিতার স্বামী আবুল হোসেন বলেন, প্রায় আমার স্ত্রী একরামুলের বিষয় বলে। বিভিন্ন সময় কাজের সন্ধানে বাহিরে যাই আমি। এই সুযোগ নিয়েছে একরামুল। এখন তিনি আমাদের ভয়ভিতি দেখাচ্ছেন। তিনি এর সুষ্ঠু বিচার কামনা করেন।
কালীগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) গোলাম রসুল অভিযোগ প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্তি করেছেন। তিনি জানান, তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এসএ/রাতদিন