কালীগঞ্জে ‘নৌকা’ পেতে আশাবাদী মাহবুবুজ্জামান

মাহবুবুজ্জামান আহমেদ। ১৯৯৪ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত টানা ২১ বছর ছিলেন তুষভান্ডার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। ২০১৪ সালে নির্বাচিত হন কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান।

আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেও তিনি প্রার্থী হতে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন।

মনোনয়ন ফরম নেওয়ার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, ‘গত নির্বাচনেও আমি দলীয় মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচনে জিতেছি। এবারও আশা করছি দল আমাকেই মনোনয়ন দিবে।’

জানা গেছে, কালীগঞ্জের সম্ভ্রান্ত রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান মাহবুবুজ্জামান আহমেদ ছাত্রলীগের মাধ্যমে রাজনীতির সাথে যুক্ত হন। এরপর যুবলীগ হয়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। বর্তমানে লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তিনি।

উপজেলা চেয়ারম্যান হিসাবে ২০১৫ সালে সরকারি সফরে তিনি যান জার্মানী, সুইজারল্যান্ড, স্পেন, চেক প্রজাতন্ত্র ও পর্তুগাল ।

এর বছর দুয়েক পর ২০১৭ সালে রংপুর বিভাগের মধ্যে শ্রেষ্ঠ উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে  প্রাথমিক শিক্ষা পদক লাভ করেন। পরের বছর লালমনিরহাট জেলার শ্রেষ্ঠ উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের ছোট ভাই মাহবুবুজ্জামান আহমেদ আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ‘গত পাঁচ বছর উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে জনগনের জন্য যেভাবে কাজ করেছি সেসব মূল্যায়ন করে আওয়ামীলীগ আবারও আমাকেই মনোনয়ন দিবে’।

কালীগঞ্জ উপজেলায় আওয়ামী লীগ থেকে আরও কয়েকজন মনোনয়ন চাচ্ছেন-এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আওয়ামীলীগ একটি বড় গণতান্ত্রিক দল। এ দলের নেতাকর্মীরা যে কোন পদে মনোনয়ন চাইতে পারেন। তবে দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ হাইকমান্ড মাঠ পর্যায়ের জনপ্রিয়তা ও যোগ্যতা যাচাই করেই মনোনয়ন দেবেন।’

এদিকে জেলা আওয়ামী লীগের একটি সূত্র জানায়, কালীগঞ্জ উপজেলার মনোনয়ন দৌড়ে এগিয়ে আছেন মাহবুবুজ্জামান আহমেদ। তবে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার বলে সূত্রটি উল্লেখ করে।

আরই/০৭.০২.১৯