কালীগঞ্জে হাট-বাজারে বেপরোয়া মানুষের ভিড়, বাড়ছে করোনা ঝুঁকি

করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে পৃথিবীব্যাপি চলছে সামাজিক বিচ্ছিন্নকরণ।করোনা-চেইন ভাঙার জন্য এর চেয়ে বড় কোন পদ্ধতি আর পৃথিবীতে নেই। সরকারও যেখানে করোনা-চেইন ভাঙার এই প্রক্রিয়া কার্যকরী করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। স্কুল কলেজ অফিস আদালত বন্ধ করছে একের পর এক। সেখানে ঠিক এর উল্টো চিত্র দেখা গেছে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলায়। এখানকার হাটবাজারগুলোতে দেদারসে জনসমাগম হচ্ছে। আর বাড়ছে করোনা কমিউনিটি ট্রান্সমিশনের প্রবল ঝুঁকি।

গরু কেনা-বেচার জন্য দেশের উত্তর জনপদের সবচেয়ে বড় বাজার চাপারহাট। একই সঙ্গে মাছ, মাংস, মুরগি, ডালসহ বিভিন্ন সবজি ওঠে। সারাদেশে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সরকারী নির্দেশনা মানা হচ্ছে না মোটেও। ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়, গায়ে গা ঘেষে জটলা, চায়ের দোকানে চুটিয়ে আড্ডা সবই দেখা গেছে এখানে।

সোমবার, ২৩ মার্চ বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জের সীমান্তবর্তী চাপারহাটে এমন চিত্র দেখা গেছে।

শুধু এই হাটেই নয়, জেলার পাঁচ উপজেলার হাট-বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কোথাও কমেনি জনসমাগম। এতে ভাইরাস সংক্রমিত হতে পারে জেনেও সচেতন হচ্ছে না মানুষ।

প্রশাসনের পক্ষ থেকে জনসমাগম না করতে মাইকিং করলেও চাপারহাটের মতো অন্যান্য হাটগুলোতে ইজারাদাররা এই নিয়ম মানার ব্যাপারে কোন ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। অন্যদিকে সীমান্তবর্তী হওয়াতে এসব হাটে ভারতীয় গরু ব্যবসায়ীরাও এসে থাকেন। এতে করে চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে এই অঞ্চলের মানুষরা।

অভিযোগ রয়েছে, নজরদারিতে রাখা তালিকাভুক্ত বিদেশ ফেরতরাও প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন হাট-বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে। শুধু এরাই নয় হাটা-বাজারে আসা মানুষদের অধিকাংশই আসছেন প্রয়োজন ছাড়া। আর এদের মধ্যে একধরণের বেপরোয়া ভাব লক্ষ করা গেছে। ফলে অনেকের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।

চাপারহাটের ব্যবসায়ী শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতি সপ্তাহে আমরা হাটে কেনা-বেচা করি। সেনাবাহিনী নামছে শুনে আজ আরও বেশি ভিড় হয়েছে।’

জনসমাগমে করোনাভাইরাস সংক্রমিত হতে পারে, জানেন কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘ভাইরাস আক্রমণ করবেই, কিন্তু হাটে না আসলে সংসার চলবে কীভাবে। ’

তবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রবিউল হাসান রাতদিননিউজকে জানান, আপাতত হাট-বাজার বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

তবে মঙ্গলবার সকাল থেকে সেনাবাহিনী নামলে হাট-বাজারে জনসমাগম নিয়ন্ত্রিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

জেএম/রাতদিন