কুড়িগ্রামে বন্যা-ভাঙনে দুর্ভোগে মানুষ

টানা বৃষ্টিতে কুড়িগ্রামে ধরলা নদীর পানি বেড়ে আবারো পানিবন্দি হয়ে পড়েছে নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষ। অপরদিকে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি অপরিবর্তিত থাকলেও বিপদসীমার উপরে অবস্থান করায় টানা তিন সপ্তাহ ধরে মানুষ দর্ভোগে রয়েছে। এদিকে তিস্তার তীব্র ভাঙনে রাজারহাটের ঘড়িয়ালডাঙা ইউনিয়নের বুড়িরহাট স্পারটি যেকোনো মুহূর্তে ভেঙে যেতে পারে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মাহমুদ হাসান জানান, গত তিন দিন ধরে দিন ও রাতে ভাঙন ঠেকানোর কাজ চলছে। কিন্তু আপ্রাণ চেষ্টা করেও স্পারটি রক্ষা করা যাচ্ছে না।

এদিকে চিলমারী উপজেলার কাঁচকোল এলাকায় ভাঙা রাস্তা দিয়ে বন্যার পানি প্রবেশ করে চিলমারী ও উলিপুর উপজেলার আরো ১০ গ্রাম নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। লোকজন বন্যার পানির মধ্যে বাড়ির ভিতর চৌকি উঁচু করে, রাস্তায়, রেললাইন, সড়ক ও বাঁধে অবস্থান নিয়েছে। ভারি বর্ষণের কারণে তাদের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ২০০ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করে রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার।

এখানকার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র জানান, আগামীকাল (২১ জুলাই) পর্যন্ত ভারী বৃষ্টি হবে। এরপর দু’একদির বিরতির পর আবারো ভারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি।

এদিকে ভারি বর্ষণের ফলে জেলা শহরের অন্তত ৩০টি স্পটে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।

এবি/রাতদিন