কোভিড জয় করেও জীবনযুদ্ধে হেরে গেলেন লতাজী, থেমে গেল কোকিলকন্ঠ

সুরসম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর আর নেই। আজ রোববার সকাল ৮টা ৩২ মিনিটে ‘মাল্টি অর্গান ফেইলিওরের কারণে’ মৃত্যু হয় সুরসম্রাজ্ঞীর। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯২ বছর।

প্রায় চার সপ্তাহ ধরে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। সম্প্রতি অবস্থার উন্নতিও হচ্ছিল। কিন্তু শনিবার আচমকা তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। দিতে হয় ভেন্টিলেশনে। সেখান থেকে আর ফেরানো যায়নি লতাকে। আজ সকালে তিনি প্রয়াত হন।

কোভিডে আক্রান্ত হওয়ায় গত ১১ জানুয়ারি তাঁকে মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। নিউমোনিয়াতেও আক্রান্ত ছিলেন তিনি। প্রথম থেকেই তাঁকে আইসিইউ-তে রাখা হয়েছিল। ৩০ জানুয়ারি শিল্পীর কোভিড নেগেটিভ রিপোর্ট আসে। কিন্তু বয়সজনিত নানা সমস্যার কারণে শেষ পর্যন্ত আর লড়তে পারলেন না তিনি।

এর আগেও সঙ্কটজনক অবস্থায় একাধিক বার হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়েছিল লতাকে। কিন্তু অনুরাগীদের আশ্বস্ত করে প্রত্যেকবারই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছিলেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর...

লতা মঙ্গেশকরের প্রয়াণে ভারতে দু’দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে। জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে। রবিবার সন্ধ্যায় মুম্বইয়ের শিবাজি পার্কে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন হবে তাঁর শেষকৃত্য। লতার প্রয়াণে সোমবার অর্ধ দিবস ছুটি ঘোষণা করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারও।

বাবা দীননাথ মঙ্গেশকর, মা শিবান্তির সাথে আশা (মায়ের কোলে), লতা (বাবার ডানে) ও মীনা (বাবার বামে)। ছবিটি ১৯৩৪ সালে তোলা। সংগৃহীত।

১৯২৯ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর লতার জন্ম এক মরাঠি পরিবারে। মাত্র ১৩ বছর বয়সে বাবাকে হারান। তার আগে অবশ্য বাবার হাত ধরেই অভিনয় এবং গান শিখতে শুরু করে দিয়েছিলেন। ১৩-১৪ বছর বয়সেই প্রথম বার সিনেমায় গান গাওয়া। মরাঠি ছবিতে। মুম্বই যাওয়ার পর ১৯৪৮ সালে প্রথম ‘মজবুর’ নামের হিন্দি সিনেমায় গান করেন।

২০০১ সালে ‘ভারতরত্ন’ পান সুরসম্রাজ্ঞী। পেয়েছেন ‘পদ্মবিভূষণ’, ‘পদ্মভূষণ’ ‘দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার’। পেয়েছেন একাধিক জাতীয় পুরস্কার। ৩৬টিরও বেশি ভাষায় গান গেয়েছেন লতা মঙ্গেশকর। বাংলায় ১৮৫টির বেশি গান গেয়েছেন তিনি।