গঙ্গাচড়ায় হট্টগোল-ভাংচুর শেষে আ.লীগের সম্মেলন স্থগিত

ভাংচুর ও হট্টগোলের মাঝে রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন স্থগিত করা হয়েছে। প্রথম অধিবেশন কোনো বাধা ছাড়াই শেষ হয়। তবে দ্বিতীয় অধিবেশনের শুরুতেই কাউন্সিলরের তালিকা নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। একসময় বিক্ষুদ্ধ নেতাকর্মীরা সম্মেলনস্থলে থাকা চেয়ার ভাংচুর করে। ফলে নেতারা সম্মেলন স্থগিত করে চলে যান।

সোমবার, ২২ জুলাই গঙ্গাচড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। এজন্য উপজেলা পরিষদ মাঠে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল।

প্রত্যক্ষদর্শী ও দলীয় সূত্র জানায়, প্রথম অধিবেশন শেষে উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।

দ্বিতীয় অধিবেশনের শুরুতে সভাপতি পদে রুহুল আমীন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবলু, গঙ্গাচড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক সাইয়েদুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক কমিটির সাবেক সদস্য আজিজুল ইসলাম, আবুল কালাম আজাদ টিটুল, বুলবুল আহম্মেদ, আব্দুল আউয়াল পাভেল এবং জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি সজিবুর রহমান প্রামাণিক সজিবের নাম প্রস্তাব করা হয়। নাম প্রস্তাব শেষে অধিবেশন কিছুক্ষণের জন্য বিরতি দেওয়া হয়।

পুনরায় অধিবেশন শুরু হলে মঞ্চে জেলা নেতাদের উপস্থিতিতে মাঠে অবস্থানরত আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মাঝে কাউন্সিলরের তালিকা তৈরিতে অনিয়মের অভিযোগে হট্টগোল শুরু হয়। এক পর্যায়ে চেয়ার ভাংচুর করা হয়। পরে হট্টগোলের মাঝে জেলা নেতারা সম্মেলন স্থগিত করে চলে যান।

সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম রাজু, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল ইসলাম ও গোলাম মওলা, দপ্তর সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম টুটুল, রংপুর জেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম প্রামানিক, যুগ্ন সম্পাদক সাইফুল ইসলাম সুইট, রংপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান সিদ্দিকী রনি, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক রোজী রহমান প্রমুখ।

এতে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রুহুল আমীন।

এইচএ/রাতদিন