গরু কেনার আগে জানুন ওষুধে মোটাতাজা কী না?

সারাদেশে কোরবানির ঈদ পালিত হবে আগামী ১২ আগষ্ট। এরই মধ্যে ঈদকে কেন্দ্র করে রাজধানসিহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বসেছে গবাদিপশুর হাট।

অনেকেই কোরবানির পশু ক্রয়ের জন্য হাটে যাচ্ছেন। দেখছেন আর ভাবছেন এই গরু কৃত্রিম প্রক্রিয়ায় মোটাতাজাকরণ করা হয়েছে কিনা?

জানা গেছে, বিভিন্ন ধরনের ওষুধ, ইনজেকশন ও রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করে এসব পশুকে মোটাতাজা করা হয়। যা পুরোপুরি স্বাস্থ্যের জন্য ভয়ানক ক্ষতিকর।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কৃত্রিম উপায়ে মোটাতাজা করা গরুর মাংস খেলে মানুষের শরীরে পানি জমে যাওয়া, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া, মূত্রনালি ও যকৃতের বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই এসব পশু কেনা থেকে অবশ্যই বিরত থাকতে হবে।

কৃত্রিম উপায়ে মোটাতাজা করা পশু চেনার উপায় :

দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাস :

কৃত্রিম উপায়ে মোটাতাজাকরণ গরুর শ্বাস-প্রশ্বাস চলতে থাকে খুব দ্রুত। একটু হাঁটলেই হাঁপিয়ে উঠে। ইনজেকশন দেয়া গরুর রানের মাংস নরম হয়। আর স্বাভাবিকভাবে যেসব গরু মোটা হয় সেগুলোর রানের মাংস শক্ত হয়।

গায়ে আঙুল দিয়ে চাপ দিন :

কৃত্রিম প্রক্রিয়ার গরুর গায়ে আঙুল দিয়ে চাপ দিলে ওই স্থানের মাংস স্বাভাবিক হতে অনেক সময় লাগে। অপরদিকে স্বংয়ক্রিয়ভাবে মোটা গবাদিপশুর ক্ষেত্রে দ্রুতই মাংস স্বাভাবিক হয়।

মুখের লালা বা ফেনা :

যেসব গরুর মুখে কম লালা বা ফেনা থাকে সেই গরু কেনার চেষ্টা করুন। কৃত্রিম প্রক্রিয়ায় মোটা করা গরুর মুখে সবসময় বেশি পরিমাণ লাল বা ফেনা থাকবে।

শান্ত প্রকৃতির :

স্টেরয়েড ট্যাবলেট খাওয়ানো বা ইনজেকশন দেয়া গরু হবে খুব শান্ত থাকে। ঠিকমতো চলাফেরা করতে পারবে না। কৃত্রিম প্রক্রিয়ায় মোটাতাজা পশুর ঊরুতে মাংসের পরিমাণ বেশি মনে হবে।

শরীরে পানি জমা :
ইনজেকশন বা ওষুধের কারণে পুরো শরীরে পানি জমে মোটা দেখাবে। আঙুল দিয়ে গরুর শরীরে চাপ দিলে সেখানে দেবে গিয়ে গর্ত হয়ে থাকবে।
মুখের সামনে খাবার :

মুখের সামনে খাবার ধরলে যদি নিজ থেকে জিব দিয়ে খাবার টেনে নিয়ে খেতে থাকে তবে বোঝা যাবে গরুটি সুস্থ আছে। আর কৃত্রিম প্রক্রিয়ার গরু খাবার কম খায়।

নাকের ওপরটা ভেজা :

সুস্থ গরুর নাকের ওপরটা ভেজা ভেজা থাকে। সুস্থ গরুর পিঠের কুঁজ মোটা ও টান টান হয়।

পা ও মুখ ফোলা :
গরুর পা ও মুখ ফোলা, শরীর থলথল করবে, অধিকাংশ সময় গরু ঝিমাবে, সহজে নড়াচড়া করবে না- বুঝে নিতে হবে এসব গরু কৃত্রিম উপায়ে মোটাতাজা করা হয়েছে।

তাই গবাদিপশু কিনতে হলে এই বিষয়গুলো দেখে কিনলে ঠকার সম্ভাবনা কম থাকবে।

এনএইচ/ রাতদিন