গোটা দেশকেই ভিক্ষুকমুক্ত করা হবে : সমাজকল্যাণমন্ত্রী

সমাজকল্যাণমন্ত্রী  নুরুজ্জামান আহমেদ বলেছেন, ‘দেশের কিছু এলাকায় কিছু মানুষ এখনো ভিক্ষাবৃত্তির সাথে যুক্ত আছে। তবে এই ভিক্ষুকরা দরিদ্রের কারণে ভিক্ষুক নয়, এরা ভিক্ষাকে ব্যাবসায়িক পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছে’।

গোটা দেশকে ভিক্ষুকমুক্ত করা হবে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘ঢাকার গুলশান, এয়ারপোর্ট, ধানমন্ডি, বেইলি রোডসহ বিদেশী পর্যটন এলাকায় ভিক্ষুকমুক্ত হয়েছে। শিগগিরই গোটা দেশকেই ভিক্ষুকমুক্ত করা হবে।’

বুধবার, ৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীতে জাতীয় সমাজকল্যাণ পরিষদে ‘জাতীয় সমাজকল্যাণ পরিষদের ৪৪ তম পরিষদ সভায়’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। বাসস পরিবেশিত খবর সূত্রে জানা গেছে এসব তথ্য।

মন্ত্রী বলেন, ‘সামাজিক নিরাপত্তা বেস্টনির মাধ্যমে প্রতিটি পিছিয়ে থাকা মানুষকে সমাজের মূল স্রোতধারায় নিয়ে আসতে হবে’।

নুরুজ্জামান আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশের গত ১০ বছরের বিষ্ময়কর উন্নয়ন দেখে এক সময়ের তলাবিহীন ঝুড়ি বলা দেশগুলোও এখন কথা বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছে। বাংলাদেশে এখন কোথাও মঙ্গা নাই’।

তিনি বলেন, ‘ক্ষুধা বা দারিদ্রের কারণে দেশের কোথাও একটি মানুষও মারা যায়নি। আগে দরিদ্র মানুষেরা মানুষের বাড়িতে কাজের জন্য বসে থাকতো, এখন বাসায় কাজ করার মানুষ পাওয়া যায় না।’

সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জুয়েনা আজিজের সভাপতিত্বে এবং জাতীয় সমাজকল্যাণ পরিষদের নির্বাহী সচিব এটিএম নাসির মিয়ার উপস্থাপনায় সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদও আলোচনায় বক্তব্য রাখেন।

এমএইচ/০৬.০২.১৯