গ্রামীণফোনের ১০০ কোটি টাকার সহায়তা, পাবেন গ্রাহক ও খুচরা ব্যবসায়ীরা

করোনাভাইরাস (কভিড-১৯) মোকাবিলায় ১০০ কোটি টাকার সহায়তা কার্যক্রমের ঘোষণা করেছে বেসরকারি মোবাইল ফোন অপারেটার- গ্রামীণফোন।  এই কার্যক্রমের অংশ হিসেবে চিকিৎসকদের এক টাকায় ৩০ জিবি ডাটা দেবে প্রতিষ্ঠানটি।

আজ শুক্রবার, ৮ মে বিকেলে অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসির আজমান। তিনি বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সনদপ্রাপ্ত ২৫,০০০ করোনা চিকিৎসকে ১ টাকার বিনিময়ে আগামী ৬ মাসের জন্য প্রতি মাসে ৩০ জিবি ইন্টারনেট দেওয়া হবে।

এ ছাড়া এই কার্যক্রমের অংশ হিসেবে গ্রাহক ও ক্ষতিগ্রস্ত খুচরা ব্যবসায়ীরা সহায়তা পাবেন বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

ইয়াসির আজমান জানান, ডাক্তারদের ইন্টারনেট অফারের পাশাপাশি কোম্পানিটির এক কোটি গ্রাহকের জন্য ১০ কোটি ফ্রি মিনিট দিচ্ছে গ্রামীণফোন। এছাড়া সব গ্রামীণফোন গ্রাহকদের জন্য সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত প্রতি মিনিট ৪৮ পয়সা কল রেট। আর মাইজিপি থেকে সাপ্তাহিক সকল ইন্টারনেট প্যাকে ১০০ শতাংশ বোনাস। আরও থাকছে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত খুচরা ব্যবসায়ীদের জন্য ১০ কোটি টাকার নিরাপত্তামূলক ক্রেডিট স্কিম।

ইয়াসির আজমান বলেন, দেশের জন্য কাজ করতে গিয়ে আমাদের আগে কখনও এমন সংকটপূর্ণ অবস্থার মুখোমুখি হতে হয়নি। এমন একটি সংকট আসবে এবং সেটি এভাবে আমাদের জীবনকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে, সেটা কেউই চিন্তা করতে পারেনি। তাই এখন সময় সবাইকে একসাথে এর মোকাবিলা করা।

তিনি বলেন, কোভিড-১৯ মোকাবিলায় সরকারি নানা কর্তৃপক্ষ, উন্নয়ন সংস্থাসহ সামগ্রিকভাবে শিল্পখাতের সম্মিলিত প্রচেষ্টা আমাকে সত্যিকারভাবে উৎসাহিত করেছে। কোভিড-১৯ মোকাবিলায় আজ পর্যন্ত গ্রামীণফোনের সব প্রতিশ্রুত উদ্যোগের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১০০ কোটি টাকা। গ্রামীণফোন শুরু থেকেই কোভিড-১৯ এর পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যালোচনা করে আসছে এবং সে অনুযায়ী প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নানা উদ্যোগের মাধ্যমে করোনা মোকাবিলায় অবদান রাখছে। এ প্রতিকূল সময়ে গ্রাহক সেবাদানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছেন গ্রামীণফোনের খুচরা ব্যবসায়ীরা। তাদের কথা চিন্তা করে, এ সঙ্কটের সময়ে ক্ষতিগ্রস্ত খুচরা ব্যবসায়ীদের সহায়তায় গ্রামীণফোন ১০ কোটি টাকা সমমানের সেফটি-নেট ক্রেডিট স্কিমের ঘোষণা দিয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে গ্রামীণফােনের প্রধান বিপণন কর্মকর্তা সাজ্জাদ হাসিব, প্রধান যোগাযোগ কর্মকর্তা খায়রুল বাসার অংশ নেন।

এবি/রাতদিন