জিতে শেষ চারের পথে রাজশাহী, হেরে বিদায়ের ক্ষণ গুনছে রংপুর

টার্গেট ১৮০ রানের। অথচ প্রথম তিন ওভারে রংপুর রেঞ্জার্সের স্কোরবোর্ডে ১ উইকেট হারিয়ে জমা মাত্র ৭ রান। ইনিংসের প্রথম ১৮ বলের মধ্যে ১৪টি ডট! সেই সঙ্কট আর পুরো ম্যাচে কাটিয়ে উঠতে পারেনি রংপুর। ম্যাচ হারল তারা ৩০ রানের ব্যবধানে। সেই সঙ্গে ৯ ম্যাচে মাত্র ২ জয় নিয়ে বঙ্গবন্ধু বিপিএলে রংপুরের সামনে বাড়ার স্বপ্ন শেষ প্রায়। আর ৯ ম্যাচে ৬ জয় নিয়ে রাজশাহী রয়্যালস শেষ চারে এক পা রেখেই দিল। এই ম্যাচে রংপুরের ব্যর্থতার সবচেয়ে বড় নাম শেন ওয়াটসন। টানা চার ম্যাচে ব্যর্থ অস্ট্রেলিয়ার সাবেক এই অলরাউন্ডার। রাজশাহী রয়্যালসের বিপক্ষেও ব্যাট হাতে ভীষণ নড়বড়ে অবস্থায় দেখা যায় তাকে। ৯ বল খেলে ২ রান করে বোল্ড হন ওয়াটসন। দলের আরেক ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম উইকেটে সেট হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ১৮ বলে ২৭ রানে শেষ নাঈমের ইনিংস। টম অ্যাবেল ও ফজলে মাহমুদ পাল্টা আক্রমণের একটা পর্ব শুরু করেছিলেন। কিন্তু এমন ম্যাচ জিততে হলে শেষ পর্যন্ত দক্ষ কোনো ব্যাটসম্যানকে লড়তে হয়। সেই লড়াই যে রংপুরের কেউ করতে পারল না। ২৪ বলে ২৯ রান করে টম অ্যাবেল এবং দুই ছক্কা ও ৩ বাউন্ডারিতে ফজলে মাহমুদ ২৬ বলে ৩৪ রান করে ক্লান্তির ভঙ্গিতে আউট হয়ে ফেরার পর এই ম্যাচে রংপুরের আস্থার নাম ছিল একটাই- মোহাম্মদ নবি। শেষ ২৪ বলে রংপুরের জয়ের প্রয়োজন দাঁড়ায় ৫৮ রান।

টি-টোয়েন্টিতে খুব বিশাল কোনো টার্গেট নয় এটা। মোহাম্মদ নবির মতো ব্যাটসম্যান রান-বলের এই দূরত্ব ঘুচিয়ে ম্যাচ জেতানোর ক্ষমতা রাখেন। কিন্তু এই ম্যাচে দলের বাকিদের মতো নবিও ব্যর্থ ব্যাটসম্যান। ৭ বলে ৫ রান করে ফিরলেন নবি। ব্যাটিং-বোলিং-অধিনায়কত্ব সব বিভাগে এই ম্যাচে রংপুর পুরো বিবর্ণ, রং হারা! রংপুরের বিদেশিদের ব্যর্থতার দিনে রাজশাহীর বিদেশি রবি বোপারা ম্যাচটা নিজের করে নিলেন। মাত্র ২৯ বলে অপরাজিত ৫০ রান করেন বোপারা। চলতি টুর্নামেন্টে এটি বোপারার প্রথম হাফ-সেঞ্চুরি। সংক্ষিপ্ত স্কোর: রাজশাহী রয়্যালস: ১৭৯/৪ (২০ ওভারে, লিটন ১৯, আফিফ ৩২, শোয়েব মালিক ৩৭, ইরফান সুকুর ২০, বোপারা ৫০*; আরাফাত সানি ১/৪৫, নবি ১/২৬ ও মুস্তাফিজ ২/৪১)। রংপুর রেঞ্জার্স: ১৪৯/৭ (২০ ওভারে, নাঈম ২৭, ডেলপোর্ট ১৪, অ্যাবেল ২৯, ফজলে ৩৪, আল-আমিন ১৮; নওয়াজ ২/২১, শোয়েব মালিক ২/২৭, ইরফান ১/২৩ ও কামরুল ২/৩২)। ফল: রাজশাহী রয়্যালস ৩০ রানে জয়ী। ম্যাচ সেরা: রবি বোপারা।