জুমার নামাজ পড়া নিয়ে মসজিদেই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ

করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে মসজিদে লোক সমাগম করে নামাজ পড়ায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন (ইফা)। প্রতিদিনের নামাজে ৫ জন এবং জুমার নামাজে ১০ জনের বেশি না থাকতেও নির্দেশ দিয়েছে ইফা। তবে এই নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই জুমার নামাজ পড়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়। এতে আহত হন ৬ জন।

শুক্রবার, ১০ এপ্রিল ঢাকার দোহার উপজেলার কার্তিকপুর বাজার জামে মসজিদে ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন- আবুল হোসেন ভূইয়া, আনোয়ার হোসেন ভূইয়া, মসজিদের মোয়াজ্জেম আবু সাইদ, এজাজ আহমেদ মন্টু, জিন্নত সিকদার ও জুবায়ের সিকদার।

মারাত্মক আহত আবুল হোসেন ভূইয়া ও আনোয়ার হোসেন ভূইয়া কার্তিক গ্রামের পীর আবদুল আওয়াল ভূইয়ার ছেলে। এছাড়াও আহত সকলের বাড়ি কার্তিকপুর এলাকায়।

এলাকাবাসী জানায়, কার্তিকপুর বাজার জামে মসজিদে জুমার নামাজ পড়তে আসা হাবিবুর রহমান চুন্নুর সঙ্গে আবুল হোসেন ভূইয়া ও আনোয়ার হোসেন ভূইয়ার কথা কাটাকাটি হয়। পরে তা সংঘর্ষে রুপ নেয়। হাবিবুর রহমান চুন্নু কুসুমহাটী ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা মাহবুবুর রহমান পান্নুর বড় ভাই।

এ বিষয়ে মাহবুবুর রহমান পান্নু বলেন, ‘হাবিবুর রহমান আমার বড় ভাই। মসজিদের নিচতলায় অতিরিক্ত লোক হওয়ায় দ্বিতীয় তলায় তাদের নামাজ পড়তে যাওয়ার অনুরোধ করলে আবুল হোসেন ভূইয়া ও আনোয়ার হোসেন ভূইয়া বলেন, কাউকে উপরের তলায় যেতে হবে না। এই নিয়ে হাবিব ভাইয়ের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। তারা আমার বড় ভাইকে গালিগালাজ করেন। পরে বিষয়টি ঝগড়ায় রুপ নেয়। আমি বিষয়টি নিয়ে দুঃখিত।’

আহতদের স্বজন কামাল উদ্দিন বলেন, ‘আনোয়ার হোসেন ভূইয়াকে মারাত্মকভাবে আহত করা হয়েছে। অন্যদের অবস্থাও ভাল নয়। তাদের দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’

দোহার থানার ওসি মো.সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। আমরা বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি, কোন অসৎ উদ্দেশে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে কিনা? প্রমাণ পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

জেএম/রাতদিন