ডিমের গায়ে মেয়াদোত্তীর্ণ তারিখ! হইচই কান্ড

সাধারণত কম বেশি সব ধরনের পণের গায়ে দেয়া থাকে এক্সপায়ারি ডেট। কিন্তু তাই বলে ডিমের গায়েও লেখা থাকবে এক্সপায়ারি ডেট। অবাক করার মতো হলেও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগণার ভাঙড়ের কাশীপুর বাজারের এক মুদি দোকানদার এমন কাজ কান্ড করে হইচই ফেলে দিয়েছেন।

এই ডিম বিক্রি করছেন বাজারের মুদি দোকানি আব্দুল জলিল মোল্লা ‘বেস্ট বিফোর’ লেবেল লাগিয়ে।

এ বিষয়ে ভাঙড় দুই নম্বর ব্লকের বিডিও কৌশিক কুমার মাইতি বলেন, ডিমের গায়ে তারিখের কথা এই প্রথম শুনছি। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব।

ভাঙড়ের চড়কপোতা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেবেশ পাল দুপুরের খাবারের জন্য ডিম কিনেছিলেন কাশীপুর বাজার থেকে। সেই ডিমের গায়ে তারিখ দেখে অবাক হয়ে যান তিনি। তার মুখ থেকেই ছড়িয়ে পড়ে এক্সপায়ারি ডেটের কথা।

ওখানকার বাসিন্দা তৃপ্তি বললেন, স্বামী ডজনে ডিম কিনে আনেন। প্রায়ই একটা-দুটো ডিম পচা বের হয়। ডিমের গায়ে ডেট লেখা শুনে তৃপ্তি জানালেন, তিনিও এবার জালিলের দোকান থেকেই ডিম কিনবেন।

এক প্রশ্নের জবাবে জলিল বলেন, আমি শিয়ালদহ পাইকারি বাজার থেকে ডিম কিনি। এটা ওড়িশার ডিম। তারাই আমাকে স্ট্যাম্প দেয়া ডিম দিলো। এখন দেখছি স্ট্যাম্প দেয়া ডিমের ভীষণই চাহিদা।

ডিম বিক্রেতারা জানান, ডিম পাড়ার পর মোটামুটি ২০ পর্যন্ত তা ঠিক থাকে। প্যাকেটে ভরে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত অবস্থায় রাখলে তিন মাসের মতো ঠিক থাকতে পারে।

ভাঙড়ে খাদ্য দপ্তরের এক ফুড ইন্সপেক্টর বলেন, ডিমের গায়ে ডেট অভিনব। তবে তা কতটা বিশ্বাসযোগ্য, সেটা নিয়েই প্রশ্ন।

এনএইচ/ রাতদিন