ড. কামালকে ধন্যবাদ জানালেন তথ্যমন্ত্রী

তথ্যমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ বলেছেন, ‘ড. কামাল তাদের রাজনৈতিক ভুল স্বীকার করায় আমি তাদের ধন্যবাদ জানাই। তারা এত দিনে তাদের ভুল বুঝতে পেরেছে।’ রোববার সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ সংস্থার প্রধানদের সঙ্গে মতবিনিময়ের আগে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

জামায়াতে ইসলামীকে সঙ্গে নিয়ে নির্বাচনে যাওয়া যে ভুল ছিল সেটি বুঝতে পারায় গণফোরাম সভাপতি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রধান ড. কামাল হোসেনকে ধন্যবাদ জানান তথ্যমন্ত্রী ।

হাসান মাহমুদ বলেন, ‘তারা (ঐক্যফ্রন্ট) বলেছেন, তারা সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ গ্রহণ করবে না। এটা তাদের আরেকটি ভুল। আমি আশা করি, তারা এই ভুল থেকে বের হয়ে আসবে এবং শপথ নিয়ে সংসদে যোগ দেবে।’

পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত মেয়েদের লেখাপড়া করলেই হবে হেফাজত আমিরের আল্লামা সফি‘র দেয়া বক্তব্য প্রসংঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘আমি যত দূর জানি হেফাজত আমির যে বক্তব্য দিয়েছিলেন, তা তিনি অস্বীকার করেছেন। ফলে এটা নিয়ে আর কোন কথা বলা জরুরি নয়।’

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে সাংবাদিকদের মধ্যে যে আতঙ্ক কাজ করছে, এ বিষয়েও হাসান মাহমুদ বলেন, ‘সাংবাদিকদের মধ্যে আতঙ্ক যাতে না থাকে সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করব।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব ধরনের সমালোচনাকে সমাদৃত করার সংস্কৃতি চালু করেছেন উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সমালোচনা পথচলাকে শাণিত করে। তবে অন্ধ আর একপেষে সামালোচনা কল্যাণকর হয় না। আমি যখন পরিবেশমন্ত্রী ছিলাম তখন আমার মন্ত্রণালয় নিয়ে ডেইলি স্টার অনেক সমালোচনা করেছে। এমনকি কার্টুনও ছাপিয়েছে। কিন্তু আমরা তাদের পরিবেশ পদক দিয়েছি। অনেক সমালোচনা করার পরও বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনকেও পদক দিয়েছি।’

দেশে অনলাইন গণমাধ্যমে বিরাট বিপ্লব ঘটেছে বলে উল্লেখ করে ড. হাসান মাহমুদ বলেন, ‘২০০৮ সালে বাংলাদেশে যেখানে ২০০৮ সালে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল আট লাখ, সেটি এখন নয় কোটির কাছাকাছি। এ ছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম প্রায় আট কোটি মানুষ ব্যবহার করে।’

‘কোনো দেশেকে এগিয়ে নিতে সম্মিলিত প্রচেষ্টার দরকার হয়। ফলে আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার সঙ্গে গণমাধ্যমের দায়িত্বও অনেক বেশি।’ যোগ করেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাসান
মাহমুদ ।

এমআরডি-১৩/০১/২০১৯

মতামত দিন