তিনদিনের মাথায় তিস্তার পানি ফের বিপৎসীমার ওপরে

তিস্তার পানি আবারও বেড়ে বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত কয়দিনের ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পানিতে দুইদিনের ব্যবধানে আবারও বিপৎসীমা অতিক্রম করলো তিস্তা। ফলে নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের অনেক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।

মঙ্গলবার, ২১জুলাই সকালে দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তা ব্যারাজ ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ মিটার  ৮০ সেন্টিমিটার। পানিপ্রবাহের স্বাভাবিক সীমা ৫২ মিটার ৬০ সেন্টিমিটার।

স্থানীয়রা জানান, গত ২৪ ঘন্টার ভারী বৃষ্টি ও উজানের পানি নেমে আসায় তিস্তা নদীর পানি প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। এর আগে গত শনিবার তিস্তার ও ধরলার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। যা ক্রমে কমে গিয়ে বন্যাপরিস্থিতির উন্নতি ঘটে। সপ্তাহ না যেতেই ফের উজানের ঢল ও ভারী বর্ষণের কারণে তিস্তার পানি প্রবাহ বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

ফলে জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, তুষভান্ডারের আমিনগঞ্জ, কাকিনা,  পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম, হাতীবান্ধার সানিয়াজান, গড্ডিমারী, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, সিংগিমারী, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, পলাশী, সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, রাজপুর, গোকুণ্ডা, ইউনিয়নের তিস্তা নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের প্রায় ৫ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে বলে সংশ্লিস্ট সুত্র জানিয়েছে।

অন্যদিকে তিস্তায় পানি প্রবাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় সৃষ্ট বন্যায় চরাঞ্চলের সবজি, বাদাম ও ভুট্টাসহ ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন চাষিরা। ফসলের ক্ষেত বন্যার পানিতে ডুবে গিয়ে ফসলহানীর শঙ্কায় চিন্তিত কৃষকরা। নিম্নাঞ্চলের পানিবন্দি পরিবারগুলো শিশু বৃদ্ধ ও গবাদি পশুপাখি নিয়ে পড়েছেন বিপাকে।

দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, অতিবৃষ্টি ও উজানের নেমে আসা পানিতে তিস্তার পানি প্রবাহ সকাল থেকে বেড়েছে। ব্যারাজ রক্ষার্থে সবগুলো জলকপাট খুলে দেওয়া হয়েছে।

তবে বিকেলে পানি কমে যেতে পারে বলে ধারনার কথা জানান তিনি।

এনএ/রাতদিন