তিন যুবলীগ নেতাকর্মীসহ রংমিস্ত্রি আটক, দল থেকে দুজনকে বহিস্কার

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউওনও) ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা ওমর আলী শেখের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আরও এক যুবলীগ নেতাসহ দুইজনকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আজ শুক্রবার, ৪ সেপ্টেম্বর দুপুরে নিজ নিজ বাড়ি থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।

আটকৃতরা হলেন, ঘোড়াঘাট উপজেলার শিংড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ও দক্ষিণদেবীপুর গ্রামের গোলাম মোস্তফা আদুর ছেলে মাসুদ রানা (৩৫) এবং একই উপজেলার চক বামনদিয়া বিশ্বনাথপুর গ্রামের পেশায় রং মিস্ত্রি নবিউল ইসলাম।

ঘোড়াঘাট থানার ওসি আমিরুল ইসলাম জানান, মাসুদ ও নবিউলকে দুপুরে নিজ নিজ বাড়ি থেকে আটক করা হয়েছে। পরে তাদের রংপুরের র্যাব-১৩ এর কার্যালয়ে নেয়া হয়েছে।

এর আগে শুক্রবার ভোররাতে উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম (৪২) ও উপজেলা যুবলীগের সদস্য আসাদুল ইসলামকে (৩৫) আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তাদেরকেও রংপুরের র্যাব-১৩ এর কার্যালয়ে নেয়া হয়েছে

ইউএনওর ওপর হামলার ঘটনায় আটকের পর দুপুরে জাহাঙ্গীর আলম ও আসাদুল ইসলাম যুবলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

এদিকে হামলার ঘটনায় ইউএনও ওয়াহিদার ভাই শেখ ফরিদ বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার, ৩ সেপ্টেম্বর রাতে ঘোড়াঘাট থানায় মামলা করেছেন।

প্রসঙ্গত, গত বুধবার, ২ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত ৩টার দিকে দুর্বৃত্তরা ঘোড়াঘাট উপজেলা পরিষদ চত্বরে ইউএনও ওয়াহিদা খানমের সরকারি বাসভবনে প্রবেশ করে। হত্যার উদ্দেশ্যে তারা ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা ওমর আলীকে কুপিয়ে ও হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে গুরুতর জখম করে।

পরে সকালে আহত বাবা-মেয়েকে প্রথমে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে ইউএনও ওয়াহিদাকে বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টারে ঢাকায় আনা হয়। তিনি এখন ঢাকার আগারগাঁওয়ে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার বাবা রংপুর মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

এবি/রাতদিন