তিস্তা-ধরলার পানি বিপৎসীমার উপরে, সাময়িক বন্যার আশংকা

লালমনিরহাটে তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। মাত্র দুই দিনের ব্যবধানে তিস্তার পানি আবারও ‍বিপৎসীমা অতিক্রম করলো।

বুধবার, ২৯ জুন দুপুরে তিস্তার ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ২ সে. মি. ওপরে ও ধরলার পানি বিপৎসীমার ২৩ সে.মি. ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে, তবে তা দীর্ঘায়িত হবে না বলে জানিয়েছে বন্যা তথ্য কেন্দ্র।

প্রাপ্ত তথ্য মতে, জেলার পাটগ্রাম, হাতিবান্ধা, কালীগঞ্জ, আদিতমারী ও সদর উপজেলার তিস্তা ও ধরলা নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।

জেলার পাটগ্রামে ধরলা নদীর পানি, পাটগ্রামের দহগ্রাম, হাতীবান্ধার গড্ডিমারী, দোয়ানী, ছয়আনী, সানিয়াজান ইউনিয়নের নিজ শেখ সুন্দর, বাঘের চর, ফকিরপাড়া ইউপির রমনীগঞ্জ, সিঙ্গামারি ইউনিয়নের ধুবনী, সিন্দুর্না ইউপির পাটিকাপাড়া, হলদিবাড়ী, ডাউয়াবাড়ী, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৈইলমারী, নোহালী, চর বৈরাতি,আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, কালমাটি, পলাশী ও সদর উপজেলার ফলিমারীর চর, খুনিয়াগাছ, কুলাঘাট, মোগলহাট, বড়বাড়ি, রাজপুর, গোকুণ্ডা ইউনিয়নের তিস্তা নদীর পানি প্রবেশ করায় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।

ধরলা তীরবর্তী সদর উপজেলার মোগলহাট ও কুলাঘাট ইউনিয়নের বেশ কিছু চরাঞ্চলে পানি ঢুকে পড়েছে।

গত সপ্তাহের বন্যার জের কাটতে না কাটতেই আবারও এই বন্যা মরার ওপর খড়ার ঘা হিসেবে দেখা দিয়েছে। খাদ্য ও নিরাপদ পানি সংকট, পয়োঃনিস্কাশন ব্যবস্থা অবনতিসহ স্বাভাবিক চলাচলে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন পানিবন্দি এসব এসব এলাকার মানুষ। নিম্নাঞ্চলের রাস্তাঘাট ডুবে যাওয়ায় স্বাভাবিক চলাচল ব্যহত হয়ে পড়েছে। পশুপাখি ও গবাদি পশু নিয়েও বিপাকে পড়েছেন এসব বানভাসি মানুষ।

গত ২৪ ঘণ্টায় লালমনিরহাট জেলায় ৫২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। তবে আজ থেকে বৃষ্টির প্রবণতা কমতে পারে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

লালমনিরহাট জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান জানান, তিস্তা ও ধরলার পানি বিপৎসীমার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় পানি আরও বাড়তে পারে।

ভারতের আলিপুর আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য মতে, আগামী ২৪ ঘন্টায় উজানে বৃষ্টিপাত কমতে পারে বলে জানানো হয়েছে। ফলে বন্যা পরিস্থিতির খুব বেশী অবনতি হবে না বলে পূর্বাভাষে বলা হয়েছে।