দক্ষিণ আফ্রিকায় ধর্ষককে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেছে জনতা

দক্ষিণ আফ্রিকায় শারীরিক প্রতিবন্ধীকে ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্তকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেছে জনতা। এ ঘটনা ঘটেছে দেশটির লিমপোপো শহরের মুহোভয়া গ্রামে।

দেশটির পুলিশের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ দৈনিক ডেইলি মেইল এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধী কিশোরী ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল। এতে গ্রামের উত্তেজিত মানুষ ওই ধর্ষককে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। পরে পুলিশ মুহোভয়া গ্রামে পৌঁছে ৩৯ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির পুড়ে যাওয়া মরদেহের অবশিষ্ট অংশ উদ্ধার করে।

দক্ষিণ আফ্রিকার সংবাদমাধ্যম সোয়েতান লাইভ বলছে, মুহোভয়া গ্রামের স্থানীয় সম্প্রদায়ের লোকজন মানসিক প্রতিবন্ধী ১৭ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে এক ব্যক্তিকে চিহ্নিত করে। ওই কিশোরী বনে কাঠ সংগ্রহ করতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হন।

পুলিশের মুখপাত্র কর্নেল মোতসে এনগোপে কীভাবে ওই কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন সেব্যাপারে স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘গ্রামের কয়েকজন নারীর সঙ্গে কাঠ সংগ্রহ করতে যান ওই কিশোরী। এ সময় ওই ব্যক্তি তাদের ওপর হামলা চালায়। নারীরা পালিয়ে এলেও ওই কিশোরী পেছনে পড়ে যান। পরে অভিযুক্ত ব্যক্তি মানসিক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে বনে ধর্ষণ করেন।’

কিশোরীকে ধর্ষণের কথা শোনার পর বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য বৈঠকে বসেন গ্রামের বাসিন্দারা। সোমবার ওই ব্যক্তিকে শনাক্ত করেন তারা। পরে তাকে ধরে এনে মারধরের পর আগুন লাগিয়ে দেয় উত্তেজিত গ্রামবাসী।

পুলিশ এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। ওই ব্যক্তিকে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের ব্যাপারে তথ্য দিতে স্থানীয়দের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে পুলিশ।

তবে এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার কিংবা কোনো সন্দেহভাজনকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।

এনএইচ/রাতদিন