দিনাজপুরে তৃতীয় দিনের মতো বৃহস্পতিবারও উদযাপিত হয়েছে ঈদ

দিনাজপুরের চিরিরবন্দরের কয়েকটি গ্রামের মানুষ ৩০ রোজা পূরণ করে আজ বৃহস্পতিবার, ৬ জুন ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন। এ নিয়ে চিরিরবন্দরে টানা তৃতীয় দিন ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হলো।

চিরিরবন্দর উপজেলার বেশ কিছু গ্রামের মানুষ সৌদির সঙ্গে মিল রেখে গত মঙ্গলবার, ৪ জুন ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেন। বুধবার, ৫ জুন সারা দেশের সাথে ঈদুল ফিতর পালন করেন আরো কিছু মানুষ। আর সবশেষে আজ তৃতীয় দিন ৩০ রোজা পূরণ করে পাঁচ গ্রামের প্রায় ৪ হাজার মানুষ ঈদ জামাতে অংশ গ্রহণ নিয়ে তিন দিনব্যাপী ঈদ পালনের মহাপর্ব শেষ করলেন।

কালের কন্ঠ অনলাইনের খবরে বলা হয়, আজ ঈদ পালন করা গ্রামগুলো হচ্ছে ৫ নম্বর আব্দুলপুর ইউনিয়নেরকে কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠ, শুকদেবপুর, নান্দেড়াই, ৮ নম্বর সাইতারা ইউনিয়নে দক্ষিণ পলাশবাড়ী ও ৪ নম্বর ইসবপুর ইউনিয়নের বিন্যাকুড়ি, দক্ষিণ নগর গ্রামের আংশিক লোকজন এই ঈদের জামাত আদায় করেন।

এই পাঁচ গ্রামের প্রায় ৪ হাজার মানুষ এই ঈদ জামাতে অংশ গ্রহণ করেন এবং মহিলারা বাসায় ঈদের নামাজ আদায় করেন।

চাঁদ দেখা নিয়ে বিভ্রান্তির কারণে তাঁরা তারাবির নামাজ আদায় করেন এবং সাহরি খেয়ে রোজা রাখেন। তাই তাঁরা গত ৫ জুন ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেননি, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় ঈদের নামাজ আদায় করেন।

সর্ববৃহৎ ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয় মেরাইডাঙ্গা ঈদগাহ মাঠে। এ মাঠে ইমামতি করেন ইমাম নাজমুল হক হামদানী ও চিরিরবন্দর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে ইমামতি করেন ইমাম আব্দুল মান্নান।

চিরিরবন্দর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে ইমামতি করেন ইমাম আব্দুল মান্নান। তিনি বলেন, চাঁদ দেখা নিয়ে বিভ্রান্তির কারণে আমরা তারাবির নামাজ আদায় করি এবং ভোরে সাহরি খেয়ে রোজা রাখি। তাই আমরা ৩০ রোজা পূরণ করে ঈদের নামাজ আদায় করলাম।

চিরিরবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হারেসুল ইসলাম তৃতীয় দিনের মতো ঈদের নামাজ আদায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এইচএ/রাতদিন