দুইজনের করোনা শনাক্ত, গোটা দেশে লকডাউন জারী

দ্বীপরাষ্ট্র টোঙ্গার রাজধানী নুকু’আলোফায় নতুন করে দুজনের করোনা শনাক্ত হওয়ার পর লকডাউনের ঘোষণা দিয়েছে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশ টোঙ্গা। জানা গেছে, সাম্প্রতিক অগ্নুৎপাত এবং সুনামির পর মানবিক সহায়তা পৌঁছানো এক বন্দরে ওই দুইজনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।

মঙ্গলবার, ১ ফেব্রুয়ারি রাতে টোঙ্গার প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে বলেন, বুধবার সন্ধ্যা ৬ থেকে সেখানে লকডাউন জারি হচ্ছে। প্রতি ৪৮ ঘণ্টা পর পর পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হবে বলেও জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী সিয়াওসি ওভালেনে বলেন, এই মুহূর্তে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে যারা আক্রান্ত হয়েছেন তাদের মাধ্যমে সংক্রমণের গতি ধীর করা বা থামিয়ে দেওয়া। তিনি আরও বলেন, এক দ্বীপ থেকে অন্য দ্বীপে কোনো নৌকা চলাচল করতে পারবে না। এছাড়া অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটও বাতিল করা হয়েছে।

সংবাদমাধ্যম বিবিসির তথ্যানুযায়ী, বিশ্বের অল্প যে কয়েকটি স্থান এতদিন করোনাভাইরাস মুক্ত ছিল তার মধ্যে অন্যতম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রত্যন্ত এই দ্বীপ রাষ্ট্র। ২০২০ সালের শুরুর দিকেই বাইরের বিশ্বের জন্য নিজেদের সীমানা একেবারে বন্ধ করে দিয়েছিল টোঙ্গা। তবে গত মাসে সমুদ্রের তলদেশে অগ্নুৎপাত এবং সুনামির আঘাতে বিধ্বস্ত এই দেশটি এখন বিদেশি সহায়তার ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডের মতো কিছু দেশ টোঙ্গায় নিয়মিত বিশুদ্ধ পানি, খাদ্যসামগ্রী, আশ্রয় এবং উদ্ধারের সরঞ্জাম সরবরাহ করছে।

বিদেশি সব ত্রাণ সামগ্রী একেবারে স্পর্শহীন কঠোর বিধি-নিষেধের মাধ্যমে গ্রহণের ওপর জোর দিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। এমনকি দেশটিতে পৌঁছানো মানবিক ত্রাণ সামগ্রী কোনো টোঙ্গানকে দেওয়ার আগে তিন দিন আইসোলেশনে রাখা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, দেশটির মোট জনসংখ্যার কমপক্ষে ৬০ শতাংশ মানুষ এরইমধ্যে ভ্যাকসিনের দুই ডোজ গ্রহণ করেছেন। ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে অনেক দেশের চেয়েই এগিয়ে আছে টোঙ্গা।