দুই দারোগার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা, সেই তরুণীর ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন

পুলিশের সেই দুই দারোগা কর্তৃক তরুণীকে ধর্ষণের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে পুলিশের গঠিত তদন্ত কমিটি। এর পর ওই তরুণী সোমবার, ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া থানায় ওই দুই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেছেন। মামলাটি তদন্ত করবেন সাটুরিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ।

প্রাথমিকভাবে অভিযুক্তরা হচ্ছেন সাটুরিয়া থানার এসআই সেকেন্দার হোসেন ও এএসআই মাজহারুল ইসলাম। বর্তমানে সেখান থেকে তাদের প্রত্যাহারের পর পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করে রাখা হয়েছে।

এদিকে মামলা দায়েরের পর সোমবার রাতেই ধর্ষণের শিকার তরুণীর ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। পরে তিনি বাড়ি চলে যান।

মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালের আরএমও ডা. লুৎফর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, চিকিৎসকদের নিয়ে গঠিত চার সদস্যের মেডিকেল বোর্ড ডাক্তারী পরীক্ষার সময় উপস্থিত ছিলেন। দ্রুত সময়ের মধ্যেই তারা প্রতিবেদন দিবেন।

একাধিক গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, গত রোববার পুলিশ সুপারের কাছে ওই তরুণী লিখিত অভিযোগ দেন। এরপর পুলিশের দুই কর্মকর্তা সোমবার ঘটনাটি তদন্ত করেন।

প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে, ওই তরুণী পুলিশ সুপারের কাছে যে অভিযোগ করেছিলেন তার সত্যতা রয়েছে।

 সাটুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলামের বরাতে খবরে বলা হয়, ধর্ষণ মামলার আসামিরা বর্তমানে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

এসআই সেকেন্দার হোসেন এর আগে ঢাকার আশুলিয়া থানায় কর্মরত ছিলেন। সেসময় এক নারীর কাছ থেকে এক লাখ টাকা ধার নিয়ে জমি কেনেন সেকেন্দার। কথা ছিল, জমি বিক্রির লাভ দেওয়া হবে নারীকে । কিন্তু পরবর্তিতে টাকা ফেরত না দিয়ে টালবাহানা করতে থাকেন ওই এসআই। একে পর্যায়ে তিনি সাটুরিয়া থানায় বদলি হয়ে আসেন।

টাকা চাইতে সর্বশেষ ওই তরুনী গত বৃহস্পতিবার বিকেলে তার এক নারী আত্নীয়কে নিয়ে সাটুরিয়া থানায় যান। ফলে এসআই সেকেন্দার টাকা দেয়ার কথা বলে তাদের নিয়ে যান সাটুরিয়া ডাকবাংলোয়।

সন্ধ্যার পর সাটুরিয়া থানার এএসআই মাজহারুল ইসলামকে ডাকবাংলোতে ডেকে নেন সেকেন্দার। এরপর দুই নারীকে দুটি কক্ষে আটকে রাখা হয় প্রথমে। পরে দুই পুলিশ সদস্য ইয়াবা সেবন করেন ও অভিযোগকারী তরুণীকে জোর করে ইয়াবা সেবন করান। এরপর তারা তরুণীকে আটকে রেখে রাতভর ধর্ষণ করেন। পরদিন শুক্রবার তরুণীকে ছেড়ে দেয়া হয়।

পরে মানিকগঞ্জ পুলিশ সুপারের কাছে রোববার লিখিত অভিযোগ দেয়া হলে সোমবার বিকেলে পুলিশের তদন্ত কমিটি তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।

এমএইচ/১২.০২.১৯