দুবাইয়ে পাকিস্তানি তরুণী ধর্ষণ, বিচার চলছে বাংলাদেশির

দুবাইয়ের আল মামজার পার্কে পাকিস্তানি তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতারকৃত এক বাংলাদেশির বিচার চলছে দেশটির আদালতে।

অভিযুক্ত ওই যুবক দুবাই মিউনিসিপ্যালিটির সাবেক কর্মী। বর্তমানে দেশটিতে তার অবস্থানেরও বৈধতা নেই।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রভাবশালী পত্রিকা খালিজ টাইমস এ খবর দিয়েছে।

ধর্ষণের অভিযোগ স্বীকার করে অভিযুক্ত বাংলাদেশি আদালতকে বলেন, ‘দুবাই মিউনিসিপ্যালিটির পুরোনো পরিচয়পত্র দেখিয়েই তিনি মেয়েটিকে ফাঁদে ফেলেন’।

ডিএনএ টেস্টেও বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে বলে দুবাই পাবলিক প্রসিকিউশন জানিয়েছে খালিজ টাইমসকে।

দুবাই পুলিশের বরাত দিয়ে পত্রিকাটির খবরে বলা হয়, ধর্ষণের শিকার পাকিস্তানি তরুণী বলেছেন, এক বন্ধুর সঙ্গে ঘটনার দিন পার্কে বসেছিলেন তিনি।

সে সময় মিউনিসিপ্যালিটির কর্মী পরিচয় দিয়ে ওই যুবক তাদের কাছে পরিচয়পত্র দেখতে চান। একই সাথে ৫০০ দিরহাম জরিমানা দাবি করেন।

এ অবস্থায় তরুণীকে সেখানে রেখে তার বন্ধু গাড়িতে থাকা পরিচয়পত্র-জরিমানার অর্থ আনতে যান।

এই সুযোগে অভিযুক্ত যুবক তরুণণীকে প্রথমে জোর করে গাছপালায় ঘেরা নির্জন একটি এলাকায় নিয়ে যায়। পরে সেখানে তাকে ধর্ষণ করে।

পাকিস্তানি তরুণী অভিযোগ করেন, ঘটনার সময় তিনি চিৎকার করার চেষ্টা করলে তার মুখ চেপে ধরেন অভিযুক্ত। পরে তাকে সেখানে ফেলে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান অভিযুক্ত বাংলাদেশি যুবক।

এ সময় তার মোবাইল ফোনটিও কেড়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন ওই তরুণী। পরে তিনি তার বন্ধুর কাছে গিয়ে পরিস্থিতি জানালে পুলিশ ডাকা হয়।

শারীরিক গঠনের বর্ণনা শুনে বাংলাদেশি ওই ব্যক্তিকে শারজার একটি বাসা থেকে আটক করে পুলিশ।

এইচএ/১৫.০১.১৯

মতামত দিন