দোররা মেরে ৮৫ বছরের বৃদ্ধের সাথে ১২ বছরের শিশুর বিয়ের ঘটনা তদন্তের নির্দেশ

জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে সালিশে ৮৫ বছরের বৃদ্ধকে দোররা মেরে ১২ বছরের শিশুর সাথে বিয়ে দেয়ার ঘটনা তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী রোববার জামালপুর জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার এবং দেওয়ানগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

আজ  মঙ্গলবার, ২৪ নভেম্বর ঘটনাটি আদালতের নজরে নেন সংশ্নিষ্ট বেঞ্চের রাষ্ট্রপক্ষের আইন কর্মকতা ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এবিএম আল মাহমুদ বাশার। এরপর বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিন সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদেশের পর আল মাহমুদ বাশার গনমাধ্যমকে বলেন, ‘একটি শিশু কতটা অসহায়, তাকে ৮৫ বছরের বৃদ্ধের সাথে বিয়ে দিয়েছেন গ্রামের মাতবররা। আবার ওই বৃদ্ধকে যে দোররা মারা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ অনৈতিক, অবৈধ’।

তিনি বলেন, ‘মাতবররা সালিশ করে এ বিয়ে দিতে পারেন না। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা এবং পাশাপাশি অসহায় শিশুটির নিরাপত্তা দেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি’।

এর আগে জাতীয় ও স্থানীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে এই বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ পায়। প্রতিবেদনগুলোতে বলা হয়, জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জের চর আমখাওয়া ইউনিয়নের বয়রাপাড়া গ্রামে ৮৫ বছর বয়সী বৃদ্ধ মহির উদ্দিনের সাথে ১২ বছরের এক শিশুর বিয়ে দিয়েছেন গ্রাম্য মাতবররা। এলাকাবাসীর অভিযোগ, সালিশে ওই বৃদ্ধের নাতি শাহিনের (১৮) অপরাধের দায়ভার দাদার ওপর চাপানো হয়েছে। এরপর বৃদ্ধ মহির উদ্দিনকে ১০ দোররা মেরে তার সঙ্গে শিশুটির বিয়ে দেওয়া হয়েছে।

প্রতিবেদনে শিশুটিকে বিয়ের বিষয়ে মহির উদ্দিন জানান, গ্রামের মাতবররা এই বুড়ো বয়সে তার গলায় ‘মরণকাঠি’ ঝুলিয়ে দিয়েছে। ১২ বছর বয়সী চতুর্থ স্ত্রীকে নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন তিনি।

আরআই /রাতদিন