ধর্ষণের আসামি জামিন পেলেন ভুক্তভোগী তরুণীকে বিয়ের মাধ্যমে

নাটোরে আদালত চত্বরে ধর্ষণ মামলার মো.মানিক হোসেন (২০) নামে এক আসামির সাথে ধর্ষণের শিকার তরুণীর বিয়ে হওয়ায় জামিন পেয়েছে ওই তরুণ। বিয়ের প্রলোভনে ধারাবাহিক ধর্ষণের অভিযোগের মামলায় ওই তরুণ দুই মাস ধরে হাজত খাটছিলেন। বিয়ের পর আদালত ওই আসামির জামিন মঞ্জুর করেন।

আজ  বৃহস্পতিবার, ১৯ নভেম্বর এই ঘটনা ঘটে। দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি সিরাজুল ইসলাম আসামির জামিন হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘বিয়ের ব্যাপারে আদালতের কোনো ভূমিকা ছিল না। এটি উভয়পক্ষের অভিভাবকদের ব্যাপার’।

মামলা দায়েরের সময় ওই তরুণী তাঁর বয়স উল্লেখ করেন ১৭ বছর। তবে বিয়ের সময় তরুণীর পরিবারের পক্ষ থেকে জমা দেওয়া জন্মসনদে বয়স ১৯ বছরের বেশি।

এর আগে গত ১৯ অক্টোবর গুরুদাসপুর থানায় ধর্ষণের অভিযোগে মানিকের বিরুদ্ধে ওই তরুণী মামলা করেন। পরে পুলিশ মানিককে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়। প্রথমে জামিনের আবেদন করলে আদালত নামঞ্জুর করেন। পরে বাদী ও আসামির পরিবার দুজনের বিয়ের বিষয়ে একমত হয়। আজ  মানিককে কারাগার থেকে আদালতে আনা হয়। দুপুরে আদালত চত্বরে নিকাহ রেজিস্ট্রার কাজী রিয়াজুল হক তাঁদের বিয়ের নিবন্ধন করেন। বিয়েতে সাড়ে চার লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য করা হয়। আসামিপক্ষ থেকে অলংকার বাবদ ১ হাজার ৩০০ টাকা পরিশোধ দেখানো হয়।

আসামির আইনজীবী মঞ্জুরুল আলম বলেন, বাদী ও আসামির পরিবার দুজনের বিয়ের মাধ্যমে আপোস করেছে। বিয়ের বিষয়টি আদালতে জানালে আদালত মানিকের জামিন মঞ্জুর করেন।

নিকাহ রেজিস্ট্রার কাজি রিয়াজুল হক বিয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মামলার এজাহারে কনের বয়স ১৭ বছর ও বরের বয়স ২০ বছর উল্লেখ থাকার পর কীভাবে তাঁদের বিয়ে নিবন্ধন করা হলো জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কনেপক্ষ থেকে জন্মসনদ দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী বয়স হয় ১৯ বছর ১১ মাস ৭ দিন। উভয়পক্ষের আপত্তি না থাকায় বিয়ের নিবন্ধন করা হয়েছে’।

আরআই /রাতদিন