ধর্ষণ প্রতিরোধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ধর্ষণ প্রতিরোধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণসহ এ সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য প্রশাসনের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ ধরনের ঘটনা রোধ করার ব্যাপক ব্যবস্থা আমাদের নিতে হবে। আর সব থেকে বড় কথা মানুষের মাঝেও জনসচেতনতা সৃষ্টি করা দরকার।

সমসাময়িক কালে সামাজিক এই ব্যাধির প্রকোপ বেড়ে যাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ইদানিং ধর্ষণটা ব্যাপকভাবে হচ্ছে এবং প্রচারও হচ্ছে। এটার যত বেশি প্রচার হয় প্রাদুর্ভাবটাও তত বাড়ে।

আজ বৃহস্পতিবার, ১৫ অক্টোবর বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের (বিপিএটিসি) ৭০ তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের সমাপনী এবং সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি একথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সকালে গণভবন থেকে সাভারস্থ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মূল অনুষ্ঠান স্থলসহ দেশের ৭টি বিভাগের বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সংযুক্ত হন।

২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চায় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী প্রশাসনের নবীন কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আজকের যারা প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত হলেন আপনারাই থাকবেন আগামী দিনের কর্নধার। আপনারাই দেশটাকে পরিচালনা করে এগিয়ে নিয়ে যাবেন। আজকের যাঁরা নতুন প্রজন্ম তাঁরই ’৪১ এর উন্নত বাংলাদেশ গড়ার সৈনিক।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা চাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী হয়েই আমাদের কর্মচারীরা দেশ এবং জনগণের সেবা করবে, সেটাই আমার লক্ষ্য। দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে আপনাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করুন।

প্রধানমন্ত্রী ’৭৫ পরবর্তী সময়ে দেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতি চলতে থাকার উল্লেখ করে বলেন, ‘আমরা চাই কোনো ধরনের অন্যায়-অবিচার যেন না হয়। মানুষ যাতে ন্যায় বিচার পায়।

তিনি বলেন, মানুষের ন্যায় বিচার পাওয়ার অধিকার রয়েছে। কারণ, আমি জানি যে, বিচার না পেলে কি কষ্ট। আমার বাবা-মা, ভাই, ভাতৃবধু-তাঁদেরকে যখন হত্যা করা হয়, খুনীদেরকে ইনডেমনিটি দেওয়া হয়েছিল। আমার বিচার চাওয়ার কোন অধিকার ছিল না। আমি কেন ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট যাঁরা নিহত হয়েছিলেন তাঁদের পরিবারের কারোরই বিচার চাওয়ার কোন অধিকার ছিল না।

এবি/রাতদিন