ঈদের নামাজ বাদ দিয়ে পয়সা কুড়িয়েছেন ফেরদৌস!

আমার বেড়ে ওঠা ও স্মৃতি ঘেরা জায়গা ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের ভেতরে। কাজ আর দ্বায়িত্বহীন ছোটবেলাতে আনন্দটাও বেশী হয় । তখন শুধু মজা আর মজা। আর ছোট থাকার বড় সুবিধা হলো, দুষ্টুমি করলেও কেউ রাগ হন না।

তেমনই এক গল্প বলি। আমাদের ক্যান্টনমেন্টের ভেতরেই মসজিদ আছে। সেখানে সবাই ঈদের নামাজ আদায় করেন। বয়স তখন খুবই কম। বড়দের সঙ্গে মসজিদে গিয়েছি নামাজ পড়তে। বড়রা যা করে ছোটদেরও তা-ই করতে হয়। নামাজ শুরুর কিছুক্ষণ পর সবাই সিজদা দিলেন। হঠাৎ শুনি টুংটাং শব্দ! কার পকেট থেকে বুঝি একগাদা পয়সা মেঝেতে পড়ে গেল।

আমি তখন নামাজ পড়া বাদ দিয়ে কয়েন কুড়ানো শুরু করলাম।

নামাজ শেষে সেই আংকেল কয়েনগুলো আমার কাছ থেকে নেননি। আমাকে ঈদের সালামি হিসেবে দিয়েছিলেন। সেই দিনটির কথা মনে হলে এখনও আমার হাসি পায়, খুব আনন্দ পাই।

বিষয়টি একেবারেই ছোটবেলার। তাই বড়রা আদরের চোখেই দেখেছেন বিষয়টা। এখন হয়তো আমার পালা। আমার পকেট থেকে পয়সা পড়লে তা হয়তো পাশের কোনও বাবুকে দিয়ে দেবো। যদিও এখন আর আমাদের মতো বোকা বাবু পাওয়া দায়।
সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা।

(চিত্রনায়ক ফেরদৌসের লেখাটি বাংলাট্রিবিউনের সৌজন্যে প্রকািশিত হলো}