রোববার, ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দিতে ইচ্ছুকদের উদ্দেশ্যে সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেছেন, ‘আপনারা নির্ভয়ে ভোট দিন, আমরা আপনাদের আশেপাশে থাকব’।
শনিবার, ২৯ ডিসেম্বর দুপুরের দিকে রাজধানীর আজিমপুর এলাকার ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন বলে দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যম জানাচ্ছে।
`আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ও বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার জন্য সারাদেশে ৫০ হাজার সেনা সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। প্রয়োজনে আরো সেনা সদস্য মোতায়েন করা হবে’- সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জানান সেনাপ্রধান।
এসময় তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের পরে যেন কেউ অরাজকতা সৃষ্টি করতে না পারে, সেটাই আমাদের মূল লক্ষ্য’।
সেনাপ্রধান বলেন, ‘কিছু কিছু এলাকা যেমন- সীমান্ত এলাকাগুলোতে সেনাবাহিনী টহল বৃদ্ধি করে দেয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছি। যাতে সেখানে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়।
তিনি আরও বলেন, ‘এছাড়া সারাদেশের সংখ্যালঘু এলাকাগুলোয় সেনাবাহিনী গিয়ে আশ্বস্ত করছে, ভোটাররা যেন নির্ভয়ে ও নির্বিঘ্নে তাদের ভোটকেন্দ্রে আসতে পারে এবং যার যার ভোট প্রদান করতে পারে। এজন্য সেসব এলাকাগুলোতে সেনাবাহিনী টহল আজকেও যাচ্ছে, নির্বাচনের পরেও যাবে’।
আজিজ আহমেদ বলেন, ‘অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি, যখনই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, যারা হেরে যায়, তারা সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ করে। এ ব্যাপারে আমরা অনেক সতর্ক থাকব’।
সেনাপ্রধান আরও বলেন, ‘সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিজিবি, র্যাব, আনসার, সিভিল প্রশাসন-আমরা সবাই একটি টিম হিসেবে একটি লক্ষ্য নিয়ে কাজ করবো। কোনো ধর্মের প্রতি যেন কোনো সংঘাত না হয়, কেউ যেন ভয়ভীতি দেখাতে না পারে, সেদিকে আমরা অত্যন্ত সতর্ক থাকবো’।
নির্বাচনে দায়িত্ব পালনে ২৪ ডিসেম্বর মাঠে নেমেছে সেনাবাহিনী। ২ জানুয়ারি পর্যন্ত তারা মাঠে থাকবেন। ৩৮৯ উপজেলায় সেনা সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন।
এর বাইরে ১৮ ডিসেম্বর থেকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মাঠে রয়েছেন এক হাজার ১৬ প্লাটুন বিজিবি সদস্য।
‘অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি, যখনই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, যারা হেরে যায়, তারা সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ করে। এ ব্যাপারে আমরা অনেক সতর্ক থাকব’
এইচএ/২৯.১২.১৮