নিহত বাবার ‘ঘুম’ ভাঙানোর চেষ্টা নিধির!

মুজবিহা জাইন নিধি। বছর পাঁচেকের শিশুটি ‘গভীর ঘুমে’ থাকা তার বাবাকে ডেকেই চলেছে। কিন্তু সাড়া নেই বাবার। তার এ ঘুম যে আর ভাঙ্গবে না!

বাড়িসহ আশপাশে শত শত উৎসুক মানুষ দেখে বারবার বাবার কাছেই যেতে চাচ্ছে নিধি। মানুষের উপস্থিতি দেখে অনেকটাই ভয়ে জড়সড়ো হয়ে এর-ওর কোলে মুখ লুকিয়ে ফুপিয়ে কাঁদছে। আর ডেকেই চলেছে বাবাকে। আর তার মা জিনিয়া সুলতানা সনি বারবার মুর্ছা যাচ্ছেন।

শুক্রবার, ২৯ মার্চ দুপুরের দিকে রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার চতরা ইউনিয়নের কাঙ্গুরপাড়ায় গিয়ে এমন দৃশ্যই দেখা গেছে।



ঢাকার বনানীর এফআর টাওয়ারের অগ্নিকান্ডে প্রাণ হারিয়েছেন নিধির বাবা মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি ওই এলাকার প্রয়াত আব্দুর রশীদের ৭ ছেলে ও ৫ মেয়ের মধ্যে অষ্টম ছিলেন।

শুক্রবার আলতাবনগর কবরস্থান মাঠে নামাজে জানাজা শেষে ওই কবরস্থানে মোস্তাফিজুরের মরদেহ দাফন করা হয়। সেখানে অংশ নেন অসংখ্য মানুষ। তাদের মধ্যে ছিলেন পীরগঞ্জের ইউএনও টিএমএ মমিন ও মেয়র তাজিমুল ইসলাম শামীম।

নিহতের বড় ভাই শহিদুল ইসলাম জানান, এফ আর টাওয়ারের অষ্টম তলায় ‘এম্পায়ার এব্রোসিভ ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেডের ম্যানেজার পদে কর্মরত ছিলেন মোস্তাফিজুর। বৃহষ্পতিবার দুপুরের অগ্নিকান্ড থেকে বাঁচার আকুতি জানিয়ে ভগ্নিপতি প্রকৌশলী আবু বক্কর সিদ্দিক ও দু’বোন ফাহিমা এবং রহিমাকে ফোন করেছিল। মপরে সিএমএইচএ থেকে তার লাশ সনাক্ত করা হয়।

এইচএ/রাতদিন