নীলফামারীতে জোর করে বাল্যবিয়ে, দুদিন পর কনের আত্মহত্যা

অষ্টম শেণিতে পড়ুয়া ১৪ বছর বয়সী পিংকি আক্তার বিয়েতে রাজি ছিল না। তবুও পরিবারের লোকজন অনেকটা জোর করেই তার বিয়ে দেয়। আর এই বাল্যবিয়ের দুদিন পর সে আত্মহত্যা করেছে।

বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর দুপুরে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার চাঁদখানা ইউনিয়নের বসুনিয়া পাড়া গ্রামের নানাবাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত পিংকি একই ইউনিয়নের বোর্ড অফিসপাড়া গ্রামের কৃষক রাজু মিয়ার মেয়ে ও চাঁদখানা দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, দুদিন আগে পিংকির সঙ্গে বিয়ে হয় নীলফামারী সদরের চাপড়া সরনজামী ইউনিয়নের লতিফ চাপড়া গ্রামের সাঈদুল ইসলামের ছেলে লাজু মিয়ার (২৫)।উত্তরা ইউপিজেডের একটি কারখানায় শ্রমিক হিসাবে কাজ করেন লাজু।

এলাকাবাসী জানায়, বাল্যবিয়েতে মত ছিল না পিংকির। বিয়ে হলেও পিংকিকে আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে দেয়া হয়নি। তাই সে বাবার বাড়ি ছেড়ে নানা শাহাদৎ হোসেনের বাড়িতে আসে। বুধবার লাজু মিয়া শ্বশুরবাড়িতে গেলে তাকেও পাঠিয়ে দেয়া হয় পিংকির নানার বাড়িতে। সেখানে তার স্বামী রাতে অবস্থান করে। এ অবস্থায় সবার অগোচরে সে ঘরের ভেতর ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে বলে পরিবারের দাবি।

কিশোরগঞ্জ থানার ওসি মো. আব্দুল আউয়াল জানান, পিংকির আত্মহত্যার ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।

এবি/রাতদিন