নোবেলের তামাশায় ডিসলাইকের পাহাড়, চৌদ্দ ঘন্টায় ১ লাখ ৫৭ হাজার

একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্য করে আলোচনায় আসছেন সংগীতশিল্পী মাঈনুল আহসান নোবেল। তাকে নিয়ে বিতর্ক শুরু সেই ভারতীয় চ্যানেল জি বাংলার সারেগামাপা প্রতিযোগিতার মঞ্চ থেকেই।

এদিকে ৭ জুন, রবিবার সকালে নিজের গাওয়া তৃতীয় মৌলিক গানটি প্রকাশ করেছেন নোবেল। তবে এই গানে দর্শকের ভালোবাসা পাওয়ার পরিবর্তে তার ভাগ্যে জুটেছে ডিসলাইক। বেশির ভাগ মানুষই অপছন্দ করছেন গানটি।

গানটি নোবেলের নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ হয়েছে। গানটি প্রকাশের ১৪ ঘণ্টা না পেরুতেই ডিসলাইক পড়েছে এক লাখ ৫৭ হাজারেরও বেশি। সেখানে লাইক পড়েছে মাত্র ২২ হাজার। ঝড়ের বেগে গানটির ডিসলাইক সংখ্যা বেড়েই চলছে।

এ গানের প্রচারণার জন্য বাংলাদেশ-ভারতব্যাপী বিতর্ক তৈরি করেছিলেন নোবেল। অপমান করেছিলেন দেশের লিজেন্ড শিল্পীদের। এমনকি ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে নিয়েও বাজে মন্তব্য করেছিলেন। সেই কারণে ভারতে তার বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে। দেশে র‌্যাবের ডাকে সাড়া দিয়ে ক্ষমা চাইতে হয়েছে তাকে।

যে গানের জন্য এতো কিছু, সেই গান শুনে হতাশ হয়েছে দর্শক। তাই গানটির জন্য নোবেল পাচ্ছেন ডিসলাইক ও ‘বাজে’ মন্তব্য। কেউ কেউ বলছেন, লিজেন্ডদের বিখ্যাত গান গেয়ে পরিচিতি পাওয়া হয়তো সহজ, কিন্তু নিজে ভালো মৌলিক গান দিতে অনেক সাধনা করতে হয়। ছোট মুখে বড় কথা বললেই দর্শকপ্রিয় হওয়া যায় না।

ফেসবুকেও সংগীত সংশ্লিষ্ট মানুষেরা বলছেন, তামাশা গানটি হিট করার জন্য নোবেল কদিন আগে যে বাজে পলিসি নিয়েছিলেন, তা ছিল একেবারেই ভুল।

নোবেলের এই তামাশা গানের মডেল তারই স্ত্রী মেহরুবা সালসাবিল। গানের কথা ও সুর করেছেন কৌশিক জিহান, আয়োজনে টিম নোবেল। মিউজিক ভিডিওটি পরিচালনা করেন নাজমূল হাসান।

জেএম/রাতদিন