পাটগ্রামে এক আবুলের জেদে জলে ভাসছে ৫০ বিঘা ফসলি জমি

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বাউরায় পানি নিষ্কাশন নালা বন্ধ করে দেওয়ায় জলাবদ্ধ সৃষ্টি হয়ে প্রায় ৫০ বিঘা জমির ফসল তলিয়ে গেছে। প্রায় এক বছর ধরে দেন-দরবার করেও এর কোন সুরাহা হয়নি।

ইউনিয়নের নবীনগর গ্রামের দবির মুন্সির টারী এলাকার আবুল হোসেন (৬০) প্রায় ১ বছর আগে মাটি ভরাট করে পানি নিষ্কাশনের নালাটি বন্ধ করে দিলে এই অবস্থা সৃষ্টি হয়।

এর ফলে আমন ধানের চারা, শাক- সবজি ও নার্সারীর বিভিন্ন প্রকার গাছে পচন দেখা দিয়েছে ।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য গ্রামবাসী স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সহ সরকারি  বিভিন্ন দপ্তরে শরণাপন্ন হয়েও পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে পারেনি। ফলে পানিতে তলিয়ে আমন ধানের চারা নষ্ট হচ্ছে।

সর্বশেষ গত ২ আগস্ট পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দেন তারা।

ওই এলাকার বাসিন্দা ভুক্তভোগী মশিউর রহমান মহসীন জানান, ‘পানি নিষ্কাশনের নালা বন্ধ থাকায় আমার ৭ বিঘা জমির রোপা আমন ধানের চারা পানিতে তলিয়ে গেছে। যথা সময়ে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না হলে ফসলের ক্ষতি আরো বৃদ্ধি পাবে।’

গ্রামের নার্সারি মালিক মমিনুর রহমান (৪৮) বলেন, ‘নার্সারিতে পানি জমার কারণে গছের গোড়া মরি যায়ছেন। এতে মোর ২ লাখ টাকার বেশি লোকসান হইবে।’

ইউপি সদস্য আনারুল ইসলাম বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করে জানান, অভিযুক্ত আবুল হোসেন কারো কোন কথা শুনছেন না । যার ফলে গত বছর অনেক ফসল নষ্ট হয়েছে। এ বছর প্রায় ৫০ বিঘা আবাদি জমির ফসল পানিতে তলিয়েছে।

অভিযুক্ত আবুল হোসেন (৬০) বলেন, ‘আমার জমি দিয়ে নালা দেবো না। পানি যাবে কি যাবে না তাতে আমার কি? এ ব্যাপারে মিঠু ভালো জানে।’

পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সাইফুর রহমান বিষয়টি অবগত আছেন, খোঁজ  খবর নিয়ে স্থানীয়ভাবে সমাধানের চেষ্টা করছেন বলে জানান । ‘যদি এতে সমস্যা সমাধান না হয় তাহলে আমি নিজে পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নেবো’ – এমনটাই বলছিলেন ইউএনও।

জেএম/রাতদিন

মতামত দিন