পাটগ্রামে ফাঁকা চেক নিয়ে ফাঁদে ফেলার অভিযোগ, খামারিদের সংবাদ সম্মেলন

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার একতা পোল্ট্রির স্বত্বাধিকারী আলমগীর হোসেন দুলু ও তার কর্মচারী নাসির হোসেনের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন পোল্ট্রি খামারিরা। পোল্ট্রি খামারি ব্যবসায়ীদের নিকট ব্যবসার প্রয়োজনে ব্যাংকের ফাঁকা চেক ও অলিখিত নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে ফাঁদে ফেলে প্রতারণা করার অভিযোগ আনা হয় তাদের বিরুদ্ধে।

রোববার, ১৮অক্টোবর দুপুরে পাটগ্রাম প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ক্ষুদ্র পোল্ট্রি খামারিদের পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে রশিদুল ইসলাম শিমুল দাবি করেন, উপজেলার একতা পোল্ট্রির স্বত্বাধিকারী, কৃষি ব্যাংক পাটগ্রাম শাখার কর্মচারী আলমগীর হোসেন দুলু ও তার কর্মচারী নাসির হোসেন বিভিন্ন খামারে গিয়ে নানা ধরনের পরামর্শ দেন। পাশাপাশি দ্রুত লাভবান হওয়ার সুযোগ- সুবিধার কথা বলেন।

ক্ষুদ্র এই পোল্ট্রি ব্যবসায়ীদের ব্যবসা সম্প্রসারণ ও লভ্যাংশ বৃদ্ধির কথা বলে মুরগীর বাচ্চা, ঔষুধ ও খাদ্য সরবরাহের জন্য প্রত্যেকের নিকট ফাঁকা চেক এবং অলিখিত নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে ব্যবসা শুরু করেন।

করোনা পরিস্থিতিতে ব্যবসায় মন্দা দেখা দিলে একে কাজে লাগিয়ে খামারি মমতাজের বকেয়া ৮০ হাজার টাকার স্থলে ফাঁকা চেক ও স্ট্যাম্পে ৮ লাখ টাকা বকেয়া , খামারী সাজুর বাকী ৫২ হাজার টাকার স্থলে ৭ লাখ, রশিদুল ইসলাম শিমুলের বাকী ২৫ হাজার টাকার বিপরীতে ২ লাখ ৫০ হাজার ও হাফিজুল ইসলামের ৩০ হাজার টাকা বাকীর স্থলে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকার চেক ও স্ট্যাম্প লিখে পাটগ্রাম থানায় অভিযোগ দেয় আলমগীর হোসেন দুলু ও নাসির হোসেন।

এ বিষয়ে একতা পোল্ট্রির স্বত্বাধিকারী আলমগীর হোসেন দুলু ও নাসির হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ফাঁকা চেক বা স্ট্যাম্প কোনো কিছুই নেওয়া হয়নি। ব্যবসার শুরুতে লিখিত নেওয়া হয়েছিল। পাওনা টাকার ব্যাপারে প্রমাণ রয়েছে। তারা পরিশোধ না করে ষড়যন্ত্র করছে।,

এমএস/রাতদিন