পাটগ্রামে জাল দলিলে বসতভিটা দখলের অভিযোগ আ.লীগ নেতার বিরুদ্ধে

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম পৌরসভায় এক বিধবার বসতভিটা দখলের অপচেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। পৌরসভার রসুলগঞ্জ দক্ষিণ কোটতলী এলাকার লতিফা বেওয়া (৫০)এই সংবাদ সম্মেলন করেন। স্বামীর ওয়ারিশ সূত্রে পাওয়া জমি এক আ.লীগ নেতা জাল দলিল করে দখলের চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ করা হয় ওই সংবাদ সম্মেলনে।

রবিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর বেলা  দুপুরে পাটগ্রাম প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগকারীর পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ছোট মেয়ে সুমাইয়া আক্তার সুমি।

বক্তব্যে লতিফা বেওয়া দাবি করেন মৃত শ্বশুর রহিমুদ্দিন ১৯৭৩ সালে রসুলগঞ্জ মৌজার ১২৫৬ নং দলিল মূলে মৃত শুকুর চাঁনের নিকট ৩২ শতক ও ১৯৭৪ সালে ৪৫৫৬ নং দলিলে মৃত লিলি কান্ত দাসের নিকট থেকে ২২ শতক জমি কিনেন।

ওয়ারিশ সূত্রে স্বামী সফিয়ার রহমানের প্রাপ্ত জমিতে বাড়ী করে দীর্ঘদিন থেকে দুই মেয়েকে নিয়ে বসবাস করে আসছেন তিনি। এরইমধ্যে ১৯৯০’র বিআরএস খতিয়ানে মৃত শুকুর চাঁনের ছেলে মৃত রামবাবু দাসের স্ত্রী শুশিলা রানীকে ওয়ারিশ বানিয়ে তাকে দিয়ে গত ১০ সেপ্টেম্বর ভুয়া জাল দলিল নিজ নামে করে নেন উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা কাদের এলাহী লাভলু।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে লতিফা বেওয়া জানান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ও জেলা জজের কার্যালয়ে সংরক্ষিত খতিয়ান বইয়ে উল্লেখিত জমির ৪০৪ নম্বর খতিয়ানের পাতাটি ছেড়া ও জেলা ভূমি রেকর্ড রুম এবং পাটগ্রাম পৌর তহশিল অফিসে রাখা খতিয়ান বইয়ে আঠা দিয়ে লাগানো ভুয়া খতিয়ানের পাতায় রামবাবু দাসের নাম সংযুক্ত করা পাওয়া গেছে।

তিনি আরও বলেন, শুশিলা রানীর নিকটাত্মীয় ও প্রতিবেশী ধীরেন দাস, নরেন দাস, জিতেন দাস ও হরেন দাসের যোগসাজসে ভুয়া দলিল করা হয়। তারাসহ ওই অভিযুক্ত নেতা জমি দখলের চেষ্টা করছেন। তাকে প্রাণ নাশের হুমকি দিচ্ছে।

লতিফা বেওয়া তাঁর অন্যান্য ওয়ারিশদের নিয়ে জীবন শঙ্কায় রয়েছেন বলে জানান সংবাদ সম্মেলনে।